দৈনিক তালাশ.কমঃ বিশেষ প্রতিনিধি: ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকায় গণপিটুনিতে নাদিম (৩৩) নামের এক ছিনতাইকারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নাদিম নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানারপাড় নিমাইকাশারির বারেক মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, রোববার ভোররাত ৪টার দিকে কাঁচপুর এলাকার ওমর নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী পাইকারি মালামাল কেনার জন্য ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে চিটাগাং রোডে অপেক্ষা করছিল। এমন সময় একটি সিএনজি অটোরিকশা তার সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন তিনি তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠেন। এতে আগে থেকেই যাত্রীবেশে দুই ছিনতাইকারী বসেছিল। কিছুদূর যাওয়ার পরপরই ব্যবসায়ী ওমরকে যাত্রীবেশী ওই ছিনতাইকারীরা ধারালো ছুরিকাঘাত করে সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এক পর্যায়ে তিনি চলন্ত সিএনজির দরজা খুলে হাত নাড়িয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক-চিৎকার করেন। এতে পেছনে থাকা একটি ট্রাক বিষয়টি দেখতে পেয়ে সিএনজিটিকে ধাওয়া করে। সিএনজিটি তখন সাইনবোর্ড দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া করা ট্রাকটি ভুঁইগড় বাসস্ট্যান্ডের সামনে এসে সিএনজিটিকে ব্যারিকেড দেয়। তখন সিএনজিতে থাকা এক ছিনতাইকারী দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আহত কাঁচামাল ব্যবসায়ী ওমর আহতাবস্থায় ছিনতাইকারী নাদিমকে ঝাঁপটে ধরে রাখে। এ সময় স্থানীয় পথচারী ও নৈশপ্রহরীরা এগিয়ে এসে নাদিমকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। অপরদিকে সিএনজিচালক কৌশলে তার সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে, আহত কাঁচামাল ব্যবসায়ী নিজেই অপর একটি সিএনজিতে করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে যান।
সংবাদ পেয়ে রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত নাদিমকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত ১২টার দিকে মারা যায় সে।
তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। ছিনতাই ও নিহত হওয়ার দুটি ঘটনাতেই পৃথক দুটি মামলা হতে পারে বলে তিনি জানান।