দৈনিক তালাশ.কমঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন মাহমুদ কাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন, কেন-ই বা তিনি আমার পিতা জেলা বিএনপির সম্মানিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সাহেবের নাম উচ্চারণ করলেন তা বোধগম্য নয়।
তবে প্রকাশিত সংবাদ পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে আমার পিতার একটি বক্তব্যে তিনি দারুণভাবে ব্যাখিত হয়েছেন। যদিও সেই বক্তব্যের কোনো অংশে তার নাম উচ্চারিত হয়নি, তারপরও তিনি ধরেই নিয়েছেন, নূর হোসেনকে কেন্দ্র করে দেওয়া বক্তব্যটুকু তাকে ঘিরে! বিষয়টি অত্যন্ত হাস্যকর এবং ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি
কলা খাই না- বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটির মত। তাহলে কী তিনিই সে ব্যক্তি যিনি নরঘাতক নূর হোসেনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করে এসেছেন!
যদি তা না-ই হবে তাহলে কেন তিনি ওই বক্তব্য নিজের গায়ে মেখে নিলেন? বিগত ষোল বছর পতিত স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম দোসর নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের সর্বোচ্চ প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন আমার পিতাসহ আমরা কী পরিমাণ মামলা-মোকাদ্দমা, হয়রানি, নির্যাতনের শিকার আমরা হয়েছিলাম তা গোটা নারায়ণগঞ্জবাসী অবগত।
এত নির্যাতনের পরও কখনই গোপন ঘরে, রাতের অন্ধকারে গডফাদার শামীম ওসমানের সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন সাহেব আঁতাত কনেনি এবং বিদেশও পালিয়ে যাননি।
এ কারণে যখন যেখানে সুযোগ হয়েছে সেখানেই গিয়াসউদ্দিন সাহেকে নিয়ে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ এবং হুমকিমূলক বক্তব্য দিতেন গডফাদার শামীম ওসমান। এই যখন পরিস্থিতি তখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসে গডফাদার শামীম ওসমানের পক্ষে কী আমরা পিতা বা আমরা ভোট চাইতে পারি?
তবে মজার বিষয় হচ্ছে, যে মঞ্চে গডফাদার শামীম ওসমান গিয়াসউদ্দিন সাহেবকে নানাভাবে হুমকি দিতেন, তাকে নিয়ে বিদ্রূপ করতেন, একশো হাত মাটির তলা থেকে তুলে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলার কথাও বলতেন, এক নিমিশে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চাইতেন,
সেই একই মঞ্চে মামুন মাহমুদের প্রশংসায় তিনি থাকতেন পঞ্চমুখ এর পিছনের কারণ অনুধাবন করতে হলে রকেট সাইন্স জানার প্রয়োজন নেই। ফলে শামীম ওসমানের পক্ষ হয়ে ‘গিয়াসউদ্দিন সাহেব ও তার সন্তানেরা ভোট চেয়েছে বলে যে বালখিল্য বক্তব্য তিনি দিয়েছেন তা ‘বাচ্চা ভুলানো লেবেন্চুষ টাইপ।
পরিশেষ বলবো, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আমার পিতা রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সাহেবের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জেলা বিএনপির দায়িত্ব অপর্ণ করেছেন তা যথাযথভাবে তিনি পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
দল যদি কখনও মনে করে এই পদের জন্য আমার পিতা যথাযথ নন; পরবর্তীতে যিনি আসবেন, দল যাকে এই দায়িত্ব দিবে, দলের বৃহত্তম স্বার্থে তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমার পিতাসহ আমরা কাজ করে যাবো।
একই সঙ্গে বলবো, জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত বর্তমান জেলা বিএনপি। ফলে এই কমিটি অস্বীকার করা এবং এই কমিটির বিরোধীতা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা মানেই জনাব তারেক রহমানের আদেশ, নির্দেশ অমান্য করা যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।
ফলে দলের নীতি আদর্শে যারা বিশ্বাসী তারা বিশৃঙ্খলার পথ পরিহার করে মূল ধারায় ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা করি।
ব্যক্তি মনে রাখা ভালো, বিএনপি দেশের একটি বৃহত্তম দল। এই দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক কিন্তু প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তাদের রাজনীতি দল এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে নয় বেক্তি স্বার্থে।