দৈনিক তালাশ.কমঃকেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো এমন পতন পৃথিবীর অন্য কোন দেশে সৃষ্টি হয়নি। স্বৈরাচারি শাসক পতন হয়েছে, সে নিজ ইচ্ছায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা একা পালিয়েছে ব্যাপারটা এমন না। তার সাথে তার মন্ত্রী পরিষদ, তার পার্লামেন্টের সদস্যরা, তার দলের নেতারা, প্রশাসনের যারা তার চাটুকারীতা করেছে তারা, যেসকল সাংবাদিকরা, ব্যবসায়ীরা, শিক্ষক, পুলিশ, সাংস্কৃতিক সেবক দাবি করে তারাসহ যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে,তার চাটুকারীতা করেছে তারা সকলে পালিয়ে গেছে। কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, কেউ দেশের ভিতরে আত্মগোপনে রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজীর নাই। এই এলাকায় অনেকে ছিলো স্বৈরাসাশকের দালালি করেছে। আমি বলিনা সবাই খারাপ, ভালো মানুষও ছিলো। কেনো পালিয়ে গেলেন। তারা ১৬টি বছর বিএনপি, জামাতসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের নেতাকর্মীদের অসংখ্য মামলা করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের এলাকা ছাড়া করেছে। আমরা জেল খেটেছি, জামিন পেয়ে আবার আন্দোলন করেছি আবার জেলে গিয়েছি। কিন্তু কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাইনি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে জনসমাবেশে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো কেনো? অনেক দাম্বিকতা অনেক অহমিকতা করেছে তারা। অনেক গল্প-কিচ্ছা বলেছে, তারা নাকি এদেশে উন্নয়ন করেছে, তার বাবা এই দেশ এনেছে, এই দেশের মালিক নাকি সে। তাহলে মালিক কেন পালিয়ে গেলো? মালিক তো মালিকানা নিয়ে থাকবে। আজকের উৎসব মূখর জনসভা বলে দেয় কেনো তারা পালিয়ে গেছে। আমার কোন সভা সমাবেশ করতে পারিনাই। অনেক দিন পর সেই সুযোগ হয়েছে। স্বৈরাচারের পতনের কারণে আজ মানুষের জোয়ার হয়েছে। আপনাদের দেশ যদি হয় তাহলে কেনো পালিয়ে গেছেন। আপনারা কেন আজকে এতো ভীতি? যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদের জেল জুলুম করেছেন। হাজার কোটি টাকা উন্নয়নের নামে বিদেশে পাচার করেছেন। আইনের সামনে উপস্থিত হন আপনাদের রক্ষা নাই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনে ৫ আগস্ট এই দেশ নতুন আঙ্গিকে মানুষের হৃদয়ে, নতুন আশার স্বপ্ন সঞ্চার করেছেন। আজকে মানুষ নতুন ভাবে দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধ্বংস করেছেন, প্রশাসনকে দলীয় করণ করেছেন, আইনের শাসন বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন, এমন কোন সেক্টর নাই যেটা ধ্বংস করেন নাই। আজকে আপনার পর কারা ক্ষমতায়, বিএনপি তো ক্ষমতায় নাই। অন্য কোন রাজনৈতিক দলও ক্ষমতায় নাই যে, আপনি ভাববেন আপনার শত্রুপক্ষ ক্ষমতায়। আপনারা আইনের হাতে নিজেদের সোপর্দ করেন, আপনাদের সাথে অন্যায় ভাবে কিছু করবে এমন কোন সুযোগ নাই। আন্দোলনের পর একটা সরকার সংগঠিত হয়েছে র্নিদলীয়। অন্তবর্তী কালীন সরকারে যারা আছে তারা কোন রাজনীতি করেনা। তারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষেও না বিপক্ষেও না। তাহলে এই সরকারের সময় আপনারা পালিয়ে গেলেন কেনো? আপনাদের পাপের বোঝা এতো ভারি যে, আপনারা নিজেরাই উপলব্ধি করেন আপনারা রক্ষা পাবেন না। তাই পালিয়ে গেছে।