দৈনিক তালাশ.কমঃ ষ্টাফ রিপোর্টার:টাঙ্গাইলে আদালতের রায় উপেক্ষা করে মাতব্বরের বাধা: ভুক্তভোগী হায়দার আলীর ন্যায়ে বিচারের অপেক্ষা। ২১ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার ) সরোজমীনে গিয়ে জানা যায়,
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া এলাকায় আদালতের রায় এবং সরকারি আমীনের মাধ্যমে নির্ধারিত সীমানা সত্ত্বেও ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হায়দার আলী, পিতা-সাহামত, করটিয়া মৌজা, টাঙ্গাইল সদর তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। স্থানীয় মাতব্বরদের বাধায় ন্যায্য অধিকার থেকেও বঞ্চিত তিনি।
মোকদ্দমা নং ৩৬/২০১৩-তে হায়দার আলী ২৭ শতাংশ জমির দাবি করেন, যা মোট ৫৪ শতাংশ জমির অংশ। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি এই মামলায় প্রাথমিক ডিগ্রি চূড়ান্ত ডিগ্রিতে রূপান্তরিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে সরকারি আমীন জমির সীমানা নির্ধারণ করে এবং লাল নিশান টাঙিয়ে সিমেন্টের খুঁটি পুঁতে দেয়। এই প্রক্রিয়ার সময় এলাকাবাসী ও মাতব্বরগণসহ মোট ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন, এবং সরকারি নথিতে তাঁদের স্বাক্ষরও রয়েছে।
কিন্তু আদালতের এই চূড়ান্ত রায় বাস্তবায়নের পরও স্থানীয় মাতব্বররা হায়দার আলীকে জমিতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে, মাতব্বর হাফিজ উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন এই বাধার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী হায়দার আলীর দাবি, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে প্রশাসনের সক্রিয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি আশা করছেন, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলাৈ রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে সাহায্য করবে।