দৈনিক তালাশ.কমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: নিজেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর ভায়রা ভাই পরিচয় দিয়ে বাটপারি ও প্রতারনা করার অভিযোগ উঠেছে ময়সিংহের চিহ্নিত প্রতারক হাবিবের বিরুদ্ধে। সেই প্রতারক হাবিব নিজের সঙ্গে শেখ হাসিনা, তার এপিএস লিকু ও বিভিন্ন এমপি কিংবা সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে ছবি বানিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার শতাধিক অভিযোগ প্রতারক হাবিবের বিরুদ্ধে । এই ধ্রুত ও প্রতারক হাবিব ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এলাকার আব্দুস ছুবুর ও হালিমা খাতুনের সন্তান।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে হাবিবুর রহমান নিজেকে শেখ হাসিনা ও এপিএস লিকুর নিকট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ব্যাংক লোন করার কথা বলে নবজাতক হাপাতালের মালিক ডা: মজিবুর রহমানকে ফাদে ফেলে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে সেই টাকা আত্মসাত্ করতে গিয়ে ব্যাংকে ভূয়া অফিসার বানিয়েছে। এরপর সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন একজন ফার্মেসী ব্যাবসায়ীর কাছে ধোকা দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এরপর আবাসন ব্যাবসায়ী আলমগীর হোসেনের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা । এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলার আশপাশে বিভিন্ন দোকানপাট, ছোটখাটো ব্যাবসায়ী, সাংবাদিকের কাছ থেকেও বিভিন্ন অযুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে বাটপার ও প্রতারক হাবিবের বিরুদ্ধে ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করার শর্তে একজন পাওনাদার জানান, তাকে একটি কাজ করে দেয়ার কথা বলে ৩লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে কাজ ও করেনি টিকাও ফেরত দেয়নি হাবিব । সে সাহেবপাড়ার ভাড়া বাসাকেও নিজের বাড়ি বলেও দাবী করেছে। অথচ বাসার বাড়িওয়ালাও তার কাছ থেকে কয়েক মাসের ভাড়া পাবেন। সে প্রতারক হাবিবকে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন ।
অপর একজন পাওনাদার জানান, এই হাবিব নিজেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এপিএস গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর ভায়রা ভাই পরিচয়ে ব্যাংক থেকে লোন উঠিয়ে দিবে বলে অন্তত ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । বর্তমানে প্রতারক হাবিব পলাতক রয়েছে । তিনিও ওই বাটপারের গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অপরাধ বিষয়ক অধ্যাপক বলেন, এ ধরনের লেবাসধারী প্রতারকরা বিশেষ ব্যাক্তির পরিচয় ও প্রভাব বিস্তার করে সাধারণ মানুষের আর্থিক ও মানুষিক ক্ষতি করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে দুইভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে । প্রথমত , পর্যাপ্ত প্রমানাদি সমন্বয়ে আদালতে মামলা করা যেতে পারে । দ্বিতীয়ত, বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ এনেও তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন ভুক্তভোগি । অপরাধ প্রমানিত হলে এইধরণের অপরাধীকে আদালত কঠোর শাস্তি দিতে পারেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান জানান, কিছু মানুষ তার কাছে টাকা পাবে। পাওনাদারের টাকা সে দিয়ে দিবে বলে জানায়।আর এপিএস লিকু তার ভায়রা ভাই হয় সে কথা সে আকারে ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করে ।