দৈনিক তালাশ.কমঃ সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলাধীন বাংড়া গ্রামে সৈয়দ এরশাদ হোসেন (১০১) তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বাদ জুমা জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তার বড় মেয়ের জামাতা মাওলানা মোঃ আফসার উদ্দিন। সৈয়দ আফজাল হোসেন সহ জানাজার নামাজের পূর্বে মরহুম এরশাদ হোসেনের চাচাতো ভাই সৈয়দ খালিদ হোসেন বক্তব্যে বলেন, আমার চাচাতো ভাই মরহুম এরশাদ জন্মকাল থেকে প্রতিবন্ধী ছিলেন না। মরহুম এরশাদ ভাই যখন কোলে অর্থাৎ তিন চার মাসের শিশু, তখন তার ভাই বোন কেউ তাকে অজ্ঞাতভাবে পারা দিয়ে কোমর বাঞ পায়ে ব্যথা দেয় সে সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা না থাকায় বড় হলে সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। কিন্তু তার এই প্রতিবন্ধী জীবন তাকে কর্ম থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারিনি। তার স্ত্রী, ছয় মেয়ে, তিন ছেলে, নাতি-নাতনি সহ অসংখ্য তার গুণগ্রাহী আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। সারা দেশ থেকে শত শত আত্মীয় স্বজন কর্মব্যস্ত জীবনেও এই গ্রামের বাড়ি বাংড়াতে এসে তার জানাজা এবং দাফনের শরিক হন। মরহুম এরশাদ ওদের এতই স্বচ্ছ লোক ছিলেন যে তার নিকট পাঁচটি পয়সা পাবে এমন কোন পানাদার নেই। মরহুম এরশাদ হোসেনের অন্যতম গুন ছিল যে সমগ্র গ্রামে প্রায় দুইশত বাড়ি থাকলেও এমন কোন বাড়ি নেই যে যার বাড়িতে তার হাতের রোপন করা গাছ নেই। হাদিসে আছে মৃত্যুর পর তিনটি আমল চালু থাকে তার একটি হলো সৎ কাজে জারিয়া যেমন স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দান করা চলমান গাছপালার রুপন করে গেলে তার ফল পশুপাখি খাবে যা কেয়ামত পর্যন্ত নেকী পেতে থাকবে। মরহুমের নাম সৈয়দ এরশাদ হোসেন থাকায় অনেকে তাকে প্রেসিডেন্ট সাহেব বলে ডাকতেন বা তার নাম জিজ্ঞেস করলে উনি বলতে সৈয়দ এরশাদ হোসেন প্রেসিডেন্ট সাপ বলে পরিচয় দিতেন।