দৈনিক তালাশ.কমঃ মামলার আবেদনের বিবরণ, বিজ্ঞ সি.এম.এম সাহেবের আদালত,ঢাকা সূত্র সি.আর মামলা নং ০২৪ (রমনা) মোঃ মাসুম শেখ, মৃত: আবু বক্কর শেখ, স্থায়ী ও সাং: কাশালিয়া, থানা – মুকসুদপুর , জেলা গোপালগঞ্জ,
জাতীয় পরিচয়পত্র নং: ৫৯৫৫৪৫৬৭৬৮ মোবাইল নং: ০১৭১৫৮৬৮৩১৫, বাদী অভিযোগকারী:-বনাম-মোঃ ইলিয়াস (৪০ বছর) এ.এস.আই (নিঃ) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম, ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ,ডিএমপি,ঢাকা আসামি সাক্ষীগনের নাম ও ঠিকানাঃ
১। বাদী নিজে ২। সোহেল রানা, পিতা – শাহ আলম সাং: গারলগাতী, থানা – মুকসুদপুর, জেলা – গোপালগঞ্জ
৩। শওকত আলী শেখ পিতা – মৃত: ইসলাম শেখ সাং: খন্দকার কান্দি, থানা মুকসুদপুর, জেলা – গোপালগঞ্জ।
(চলমান পাতা ০২)
৪। জহিউর রহমান (৩৩) পিতা – মিজানুর রহমান সাং গোলাঘাটা,থানা – বামনা,বরগুনা।
প্রয়োজনে আরও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হাজির করা হইবে,
ঘটনার তারিখ ও সময় সর্বশেষ বিগত ১৭ /০৮ /২০২৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ১২: ০০ ঘটিকায়।
ঘটনার স্থন: রমনা থানাধীন মিন্টু রোড ডিবি পুলিশের প্রধান কার্যালয়,ঢাকা।
অভিযোগকারী বাদীর পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে, ০১। অত্র মামলার/বাদী একজন সহজ-সরল ও আইন মান্যকারী ব্যক্তি বটে।
০২। অত্র মামলার বাদী বিগত ১৬/ ০৮/ ২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬ : ০০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন চাষাড়া রেল স্টেশনে বসেছিল,সাদা পোষাকে একজন ডিবির এস.আই/ প্রাণ পরিচয় দিয়ে ডিবির বাদীকে গাড়ীর নিকট নিয়ে যায় এবং বলে যে ভাই DB.DC. DMP আপনার সাথে কথা বলবে,বাদী গাড়ীর নিকট দাড়িয়ে আছে।
বাদী আসামী এ.এস.আই ইলিয়াসকে দেখতে প্রায় পুলিশ নিশ্চিন্ত হয়,বাদী এবং আসামী দীর্ঘদিন একই সাথে পুলিশ।
(চলমান পাতা ০৩)
হেডকোয়ার্টার্সে চাকুরি করেছেন আসামী বাদীকে বলে – কোন সমস্যা নাই গাড়ীতে উঠেন,বাদী আসামীর কথা বিশ্বাস করে গাড়ীতে ওঠেন।
গাড়ীতে ওঠার পর বাদী আসামীকে পুনরায় জিজ্ঞাস করেন-স্যার ডিবি অফিসে কি জন্য নিয়া যাইতেছেন, তখন আসামী বলে-একটা ঘন্টার বিষয়ে ডিসি স্যার আপনার সাথে কথা বলবে।
আসামীর কথায় বাদীর সন্দেহ হলে বাদীর নিকট থাকা নগত (৪৩ হাজার টাকা) (০৬আনা) ওজনের একটি স্বর্ণের
আংন্টি ও বাদীর বাসার মেইনগেটের চাবি আসামী এ.এস.আই এর নিকট জমা দেয় এবং বলে স্যার এগুলো আপনার নিকট রাখেন পরে নিব-যে হত আসামে বাদীর পূর্ব পরিচিত,ইতিমধ্যে,পথে এসে ফতুল্লা থানাধীন ভুইঘর এলাকায় এলে আসামী ২নং সাক্ষীকে গ্রেফতার করেন এবং কদমতলী থানাধীন শনির আখড়া এলাকায় এসে আঃ সালাম,নামে আরেক জনকে গ্রেফতার করে,বাদীকে সহ রাত অনুমান ১২:০০ ঘটিকার দিকে রমনা থানাধীন মিন্টু রোড ডিডি অফিসে নিয়ে আসেন,
বাদী অত্র আসামীকে জিজ্ঞেস করেন DC স্যার কোথায় আমাকে নিয়ে চলেন।
অত্র আসামী তখন জানায় যে আপনার নামে অভিযোগ আছে,আপনাকে মামলায় চালান দেওয়া হবে।
আসামী তখন বাদীকে ডিবি অফিসের একটি রুমে তালা মেরে রেখে চলে যায়।
(চলমান পাতা ০৪)
০৩। পরের দিন অর্থাৎ গত ১৭/০৮/২০২৩ ইং তারিখ সকাল আনুমান ০৮:০০ ঘটিকায় আসামী আবার বাদীসহ সাক্ষীগণের নিকট আসে,তখন আসামী বাদীকে বলে যে তোদের বিরুদ্ধে বড় মামলা হবে,তোরা অনেক ক্রাইমের সাথে জড়িত।
তখন বাদী আসামীকে বলেন যে আপনি আমাকে ডেকে আনলেন DC স্যারের সাথে দেখা করানোর কথা বলে আনলেন এখন আপনি আমাকে মামলা দিয়ে কোটে চালান দিবেন-এইটা কেমন কথা।
এই কথা বলা মাত্রই আসামী বলে-ডিবি অফিসে আসিলে কেউ খালি হাতে ফেরত যাইতে পারে না।
তখন আসামী বাদীকে বলে যে,ডিবি অফিস থেকে ছাড় পেতে হলে প্রত্যেকে আমাকে (দুই লক্ষ) টাকা করে দিতে হবে,অন্যথায়-তোমাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি,ছিনতাই ও মাদকের মামলা এমনকি ক্রসফায়ার দেওয়া হতে পারে।
তখন বাদী তাহার শ্যালক ১নং সাক্ষীর সাথে যোগাযোগ করে এবং তাকে জানায় যে,তিনি ডিবি হেফাজতে আছেন (দুই লক্ষ) টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দিবে।
তখন বাদীর শ্যালক রাতে (৬০ হাজার) টাকা পর্যন্ত জোগাড় করে দিতে পারবেন এর বেশী দিতে পারবে না বলে জানায়।
অত্র বাদী আসামীকে জানায় যে,এই মুহুর্তে (৬০ হাজার) টাকা জোগাড় করে এনে দিতে পারবে: অত্র আসামী তখন রাজী হয় এবং বলে যে,টাকা নিয়ে আসতে।
তখন ১নং সাক্ষী রাত আনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় ডিবি অফিসে এসে আসামীর নিকট টাকা এনেদেয় এবং
২নং সাক্ষী বিকাশের মাধ্যমে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
(চলমান পাতা ০৫)
এনে আসামীকে দেয় আসামী তখন বলে যে,সকালে ডিসি স্যার আসলে তোদেরকে ছেড়ে দিবে,সকাল বেলা অফিসার আসিলে বাদীকে বলেন যে,ডিসি স্যারের নিষেধ আছে,তোদেরকে ছাড়া যাবে না।
০৪। বাদী তখন আসামীর নিকট থেকে নেওয়া সেই
(৬০ হাজার) টাকা ফেরৎ চায় কিন্তু আসামী কৌশলে বাদী ও ২নং সাক্ষীর টাকা ফেরৎ না দিয়ে পরের দিন অর্থৎ গত
১৮/০৮/ ২০২৪ ইং তারিখ উওরা পূর্ব থানার মামলা নং-
৭(৮)২০২৩ ধারা: ৩২৩/৩৪২/৩৮৬/১৭০/৫০৬/৩৪ দঃ বিঃ
তৎসহ পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(১)/৮(২) ধারায় একটি মামলায় শনির আখড়ার জনৈক্য সালামের বাসায় গ্রেফতার দেখায় এবং ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন।
প্রকৃতপক্ষে বাদীকে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া রেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেন, বাদী আসামীর নিকট
(৬০ হাজার) টাকা ফেরৎ চাইলে ঐ মামলায় সেই
(৬০ হাজার) টাকা রিমান্ডে এনে জব্দ দেখায়, বাদী পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট হইতে সেই মামলায় জামিন প্রাপ্ত হইয়া আসামীর নিকট বাদীর রাখা নগত টাকা ও আংটি ফেরৎ চায়, যেহেতু সেই (৪৩ হাজার) টাকা ও আংটি জব্দ তালিকায় দেখায় নাই।
প্রথমে আসামী ফেরৎ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দিন ডেট দিলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন তালবাহানা করিতে থাকে,
বিভিন্ন সময়ে বাদীর সাথে আসামীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আংটি ও টাকা ফেরৎ চায় তাহার ভয়েস রেকর্ড আছে-যাহা বিজ্ঞ আদালতে সিডির মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।
(চলমান পাতা ০৬)
০৬। মামলায় বর্ণিতরূপ ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে বাদী আর অন্য কোন উপায় না পেয়ে মামলা দায়ের কারার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মামলায় বর্ণিত ঘটনাস্থল অত্র বিজ্ঞ বিচারক আদালতের এখতিয়ারাধীন হওয়ায় বাদী বর্ণিতরূপে অত্র মামলা দায়ের করিলেন।
০৭। বাদীর বর্ণিত ঘটনার স্বপক্ষে মামলার মানীত সাক্ষী গন বিস্তারিত অবগত আছেন,তাহারা তাহাদের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করবেন,
বাদী ন্যায় ও সুবিচারপ্রার্থী।
অত এব প্রার্থনা,ন্যায় ও সুবিচারের স্বার্থে বাদীর অএ নালিশী দরখাস্ত আমলে গ্রহণ করতেঃ আসামীর বিরুদ্ধে
বর্ণিত ৪২০/৪০৬/১৬১ দঃ বিঃ ধারার উপাদান বিদ্যমান থাকায় উক্ত ধারায় অপরাধ আমলে গ্রহণ পূর্বক আসামীর প্রতি গ্রেফতারি পরওয়াল (W/A) ইস্যু করতেঃ ন্যায় ও সুবিচার করিতে সদয় মর্জি হয়।
এবং বিজ্ঞ আদালতের উক্তরূপ আদেশে দরখাস্তকারী অত্র অসহায় বাদী বিজ্ঞ আদালতের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকিবে।