দৈনিক তালাশ.কমঃউজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাদকসেবীর কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া থানা পুলিশ হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী এবং কোর্টের ওয়ারেন্টমূলে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদেরকে নওগাঁ কোর্টে পাঠানো হয়। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী জানান, মদ্য পান করে এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটনের দায়ে শনিবার দুপুরে জনতা উত্তরগ্রাম এলাকা থেকে ওই গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে শাহিদ হোসেন (২৪), খাদেম আলীর ছেলে আলেফ উদ্দিন (২৬) এবং ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত সোলাইমান আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৫২) নামে তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। থানা পুলিশ তাদেরকে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আরার অফিসে হাজির করলে বিচারক শুনানী শেষে তাদের প্রত্যেকের ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এদিন থানা পুলিশ মাদক মামলায় কোর্টের ওয়ারেন্টমূলে উপজেলা সদরের মধ্যবাজার এলাকার মৃত বিশ্বনাথ রবিদাসের ছেলে রাজন রবিদাসকে (২৫) আটক করে।এছাড়া শুক্রবার বিকেলে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকায় মকবুল হোসেন (৬৫) নামে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে জনতা ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে নুর নবী (৪০) ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। নিহত মকবুল হোসেন ওই গ্রামের মৃত শুকুর উদ্দিনের ছেলে ও নুর নবীর মামা। নিহতের ভাই আহাদ আলী জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মকবুল হোসেন ও নুর নবীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত ঘটে। মকবুল হোসেন একটি গাছের ডাল দিয়ে নুর নবীর মাথায় আঘাত করলে সে জখম হয়। এক পর্যায়ে ইটের আঘাতে মকবুল হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মকবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। নুর নবীর মাথায় তিনটি সেলাই দেয়া হয়।
মহাদেবপুর থানার ওসি জানান, থানা পুলিশ এখন পুরোদমে সবরকম কাজ শুরু করেছে। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদা সতর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ #