দৈনিক তালাশ.কমঃ মাসদাইরে বিভিন্ন সময় হত্যাসহ নানা ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, দানিয়াল হত্যা সহ বিভিন্ন অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে এই মাসদাইরে।
১৪ এপ্রিল বেলা ১২ টার সময়, মাসদাইর পাকাপুল এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং লিডার সাবু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা মোঃ সুজন (৩৪) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়,যার দ্বায়িত্ব দেয়া হয় এসআই হুমায়ূন কবিরকাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,ফতুল্লা থানায় তিনি ছাড়া আর ও অন্য কর্মকর্তা আছে। ঘটনা যা হবার তা হয়ে গেছে,এখন আসামীদের খুঁজে বের করতে হবে। অথচ তিনি কোন আসামীকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি। এলাকাবাসী জানায়, এনায়েত নগর ইউনিয়ন এ-র ফতুল্লা থানা মাসদাইরে সকল অপরাধী দের সহযোগীতা করে এই এসআই হুমায়ুন কবির। তাছাড়া গত ৩১ মার্চ একটি মোবাইল বেচাকেনা কে কেন্দ্র্র করে অন্তত একশটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এব্যাপারে কিশোর গ্যাং লিডার মানিক, ইমরান ও সাবু সহ ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সূর্য্য বেগম।
এরকম ঘটনায় বাদি হয়ে মোঃ শহিদ মিয়া পিতা মেজবাহ উদ্দিন মা জাহানারা বেগম,জাতীয় পরিচয় পত্র ৫০৫৭১৭৯৫৯৯ সাং তনয়ের বাড়ি মাসদাইর গুদারা ঘাট জেলা নারায়ণগঞ্জ পোস্ট অফিস এনায়েত নগর থানা ফতুল্লা থানায় হাজির হইয়া বিবাদী সাঈদ(২৫)পিতা মনির হোসেন সাং পতেঙ্গা মোড় সংলগ্ন আবুল মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া সাঈদ ও সাবুসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-১৬ জনের নামে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি এবং প্রাণনাশের হুমকি ভাই ভাই অটোর গ্যারেজ ভাঙচুর ও লুটপাটের আভিযোগ ০৩/০৬/২০২৩/ ইং তারিখ ০৭.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত বিবাদী ০৯.৩০ মিনিটের সময় অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনের দেশীয় অস্ত্র নিয়া আমার অটো গেড়েজে থাকা ১১ টি অটো গাড়ি ভাঙচুর করে, যার মূল্য একটি অটো ১,২০,০০০ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা,তাছাড়া আমার গ্যারেজের ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গীর(৩৭) মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে গ্যারেজের ক্যাশ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ও অটো গাড়ির তিনটি চার্জার বিবাদী জোরপূর্বক লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসা সহ নানান অপকর্মের মূল হোতা, সাঈদ ও সাবু।
নারায়ণগঞ্জে ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এক তরুণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ শনিবার (৩ জুন) রাতে পরপর দুই দফার হামলায় ওই ব্যবসায়ীসহ পরিবারের আরও তিন সদস্য আহত হয়েছিল,
অভিযুক্ত আশরাফুল ইসমাইল রাফেল প্রধান নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক৷ রাফেল ও তার ভাই রাসেল প্রধান তাদের অনুসারী লোকজনকে নিয়ে এ সশস্ত্র হামলা চালান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের৷
হামলায় আহত হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাসদাইর এলাকার তরুণ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ইফাদুর রহমান তুষার (৩২), তার বড়বোন শান্তা রহমান বৈশাখী (৩৬), মামা মতিন আহমেদ (৭০) ও কামাল আহমেদ (৬০)৷ এ ঘটনায়
শান্তা রহমান বলেন, মাসদাইর এলাকায় তার ছোটভাই তুষারের ‘রান অনলাইন’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ তিনি মাসদাইরসহ আশেপাশের এলাকার ইন্টারনেট সার্ভিস (ওয়াইফাই) প্রোভাইডার৷ একই এলাকায় ইন্টারনেটের ব্যবসা রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা রাফেল ও তার ভাই রাসেলের৷ তারা ‘তুষারের’ ব্যবসা দখলে নিতে চান৷
গতকাল শুক্রবার রাফেলের লোকজন আমার ভাইয়ের ৩০ হাজার টাকার ইন্টারনেট লাইন কেটে দেয়৷ শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাফেল ও তার ভাই রাসেলের নেতৃত্বে অর্ধশত সন্ত্রাসী বাহিনী পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা হাতে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়৷ আমার ভাইকে তারা রাস্তায় ফেলে বেধরক পেটায়৷ পরে নয়টার দিকে আবারও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আমাদের বাড়ির সামনে গুলি করে, বোমা ফাটায়৷ বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়ে আমাদের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে৷ বাড়ির সামনে আমাদের ভাড়াটিয়ার একটা মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে৷ বাধা দিলে আমাকে ও আমার দুই মামাকে তারা মারধর করে৷ আমার বড়মামার দিকে পিস্তল তাক করে গুলি করে দেওয়ারও হুমকি দেয় রাফেলের লোকজন৷’
স্থানীয় দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, তারা অন্তত তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন এবং অন্তত দুইবার ককটেল বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনেছেন৷ সন্ত্রাসীরা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী তুষারের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে মারতে থাকেন৷ এ সময় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন৷
ঘটনাস্থলের দুই বাড়ি পরে স্থানীয় কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বাড়ি৷ তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি৷ আমি নিজেও ককটেলের মতো কিছু বিস্ফোরণ হয়েছে এমন শব্দ দুইবার শুনেছি৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ আসছে, তারা তদন্ত করছে৷’
স্থানীয় লোকজন জানান, নগরীর বেশকিছু এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন৷ অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী বলে পরিচিত ছাত্রলীগ নেতা রাফেল প্রধান৷
তুষারের বড়বোন শান্তা রহমান বলেন, ‘অয়ন ওসমানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ইন্টারনেটের লাইন নিয়ে আমার ভাই তুষার ব্যবসা করে৷ রাফেল ও রাসেলরাও অয়ন ওসমানেরই লাইন চালায়৷ কিন্তু আমার ভাইয়ের লাইন রাফেলরা দখলে নিয়ে শুধু নিজেরাই ব্যবসা করতে চায়৷ এর আগেও আমার ভাইয়ের উপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল তারা৷
যোগাযোগ করা হলে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসমাইল রাফেল৷
হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়৷ পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে এমন কোন আলামত এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি৷ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে৷ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন রয়েছে৷