দৈনিক তালাশ.কমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়ে মানবেতর জীবন পার করছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন। সে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা।
গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে নেমে তার মাথায় আঘাত লাগলে খুলির সামনের হাঁড়ের অংশ ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসায় খরচ বহন করতে না পারায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে পরিবারটির। এমনকি বার বার অজ্ঞান হয়ে যায় সুমন। দিন দিন তার স্বাস্থ্যের অবস্থাও অবনতি ঘটছে। অনেক সময় পরিচিত মানুষকে চিনতে পারে না। সঠিক সময়ে উন্নত চিকিৎসা না করা হলে মানসিক ভারসাম্য হারাতে পারে এমনটা জানিয়ে দিশেহারা আহত সুমনের স্ত্রী।
জানা গেছে, গুরুতর আহত সুমনের মাথায় প্রায় ২২টির মত সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রতিমাসে তার আঘাতপ্রাপ্তস্থানে ড্রেসিং করানো হচ্ছে। এরআগে খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতাল থেকে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। পরে তাকে নিউরো সাইন্স ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হসপিটালে উন্নত চিকিৎসায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পরিবার। তবে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন ও তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সুমন ও তার পরিবার বর্তমান অন্তর্তবর্তীকালীন সরকার, জেলা প্রশাসক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ সকলের সহযোগীতা চেয়েছেন।
পরিবার জানিয়েছেন, সুমনের দুটি সন্তান রয়েছে। তার মধ্যে একটি ৮ বছরের কণ্যা এবং ১২ বছরের ছেলে। তারা সকলেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি শয্যাশায়ী থাকায় সন্তানগুলোর অনিশ্চিত ভবিষ্যত দেখা দিয়েছে। একই সাথে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমনের উন্নত চিকিৎসা না হলে মানসিক ভারসাম্যহীণ হয়ে পড়া কিংবা মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক, এমনটা দাবী পরিবারের।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক ফারহানা মনিক মুনাসহ কয়েকজন সুমনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। ইতমধ্যে বেশকয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ জেলা প্রশাসকের কাছে সহযোগীতাও গ্রহন করেছেন। কিন্তু ১মাস পেরিয়ে গেলেও আহত সুমনের খোঁজ কেউ নেননি। পাচ্ছেন না উন্নত চিকিৎসার জন্য কোনো প্রকার সহযোগীতা।