দৈনিক তালাশ.কমঃ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকী দিচ্ছে পরিবহন মাফিয়ারা।
এমনকি উল্টো মামলায় হয়রানি এবং নিরাপত্তাহীণতায় ভোগছে বলে জানিয়েছেন নসিব পরিবহন প্রা. লি. এর মালিকরা। বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর রাতে সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য জানিয়েছেন পরিবহনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন মির্জা।
তিনি বলেন, এই মর্মে আমরা র্যাব-১১ সিও লে.কর্ণেল তানভীর মাহুমুদ পাশাকে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এছাড়াও আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরী করার প্রস্তুতী নিচ্ছি। বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে এবং লোকমারফত শামীম ওসমানের পরিবহন খাতের ক্যাশিয়ার দিদার, পীর বাবুর ভাতিজা সুলতান, বন্ধূ পরিবহনের সাবেক এমডি সাইফুলের ক্যাশিয়ার রুবেলসহ অন্যান্যরা আমাদের মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকী-দমকী দিচ্ছে। এ নিয়ে আমরা আতংকিত ও অনিরাপত্তায় আছি।তবে নসিব পরিবহন মালিকদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে উল্লেখ্য অভিযুক্তদের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তারা রিসিভ করেনি। তাই এ নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।উল্লেখ্য, গত ১লা সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার শ্যালক এহাসানুল হাসান নিপু ও তার সহযোগীসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি ও হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে মামলা রুজু করেন পরিবহন মালিকরা। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শামীম ওসমানের শ্যালক এহসানুল হাসান নিপু, হকার্সলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগ নেতা মহসিন ভূঁইয়া, শামীম ওসমানের পরিবহন খাতের ক্যাশিয়ার দিদারুল আলম, সাইফুল ইসলামের পরিবহন ক্যাডার মো. রুবেল, আওয়ামী লীতা মো. সুলতান, আইয়ুব আলী মেম্বার, মিলন ও আজমেরী ওসমানের ক্যাডার নাসির। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদলতের বিচারক সাফিয়া শারমীন মামলাটি এজাহারভূক্ত করতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওইসময় বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের কাছে সাবেক এমপি ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানায় ভুক্তভোগীরা।