দৈনিক তালাশ.কমঃনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মনিরুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও
সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আইভী ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩০০ জনকে বিবাদী করা হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের সবগুলো থানা শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুনায়েদ আলম পলক সহ শীর্ষ নেতা সহ শামীম ওসমান ও অনুসারীদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। তবে কোনটিতে আইভীর নাম ছিল না।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদেও আইভীর নাম নিয়ে কয়েকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছিলনা। যদিও আইভীর দাবী ছিল তিনি কিছুই জানতেন না।
নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ওবায়দুল কাদের, শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসানাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল, সাংবাদিক রাজু আহাম্মদ, অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল সহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও আরো অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জন দুষ্কৃতিকারীরকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ১নং আসামী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সারা দেশের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ প্রদান করলে ২নং হতে ৫নং আসামীর নেতৃত্বে ৩০০/৪০০জন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বন্দুক, সাটারগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতিসহ অত্যাধুনিক দেশী ও বিদেশী অস্তে সজ্জিত হয়ে ছাত্র জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টাকালে আদমজী রোডস্থ আল আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সম্মুখে তাদের হাতে থাকা ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটাইতে ঘটাতে সামনের দিকে আগাতে থাকা অবস্থায় আসামীরা তাদের সাথে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি
ছুড়তে থাকে। তখন আমার ভাই মিনারুল ইসলাম তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী। সে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ৬টায় মুজিব ফ্যাসনের সম্মুখে আসিলে,ঘটনার সামনে গেলে ২নং আসামী শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে লক্ষ্য
করে গুলি ছুড়লে সে গুলি আমার ভাইয়ের বাম দিকের কিডনির নিচে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার ভাই তৎক্ষনাৎ মাটিতে লুটিয়ে পরলে তাকে তার সাথে থাকা মোঃ সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।