দৈনিক তালাশ.কমঃস্টাফ রিপোর্টার : বন্যা কবলিতদের সাহায্য এবং পূনর্বাসনের লক্ষ্যে আলোচনা সভা করেছে ফতুল্লা থানা বিএনপি। গতকাল বিকেলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বাস ভবনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু।
থানা বিএনপির সহ – সভাপতি সুমন আকবরের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
এদিকে, বন্যার্তদের সাহায্যে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘যেখানেই দূর্যোগ এবং দেশ ও মানুষের বিপদ; সেখানেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিকরা তার আদর্শ নিয়ে মানুষের পাশে হাজির হয়ে যায়। আমরা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিজেদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আজ (গতকাল) সকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির ফান্ডে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান দিয়ে এসেছি। এখন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশনায় জেলা বিএনপির হাতে ফতুল্লা থানা বিএনপির পক্ষ থেকে নগদ সাহায্যের টাকা পৌছে দিব।’
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে টিটু বলেন, ‘একটি মহল কাদা ছোড়া—ছুড়ি করছে। রিয়াদ চৌধুরীকে যেভাবে বাহিস্কারের আদেশ দেয়া হয়েছিল, এটাই তার প্রমান। কিন্তু তারা জানে না যে, এভাবে বহিস্কার করা যায় না। থানা বিএনপির এক নেতা আরেক নেতাকে বহিস্কারের আদেশ দিতে পারে না। কেন্দ্রীয় নেতারাও এই বিষয়ে অবগত নন বলে আমাকে জানিয়েছে। কাজেই বহিস্কার করতে হলে গঠনতন্ত্রের বিষয়ে একটু খেঁাজ নিয়েন যে, পক্রিয়াটা কী।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্যই এই দল গঠিত হয়েছে। তাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। আর দলের মধ্যে থেকে সেক্রেটারি বারী ভূইয়া সাহেব যেভাবে বক্তব্য রাখছে, তা শোভনীয় নয়। বয়স হলে মানুষ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি হয়ে যায়। তাই আহবান থাকবে যে, বক্তব্য দেয়ার সময় দায়িত্বশীল হবেন। আপনি যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, মনে হচ্ছে যে, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যাকে এক করে ফেলবেন। ভুলে যাবেন না, আপনি কান্না করেছেন বলেই আমি সেক্রেটারি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ফতুল্লা থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার বলেন, সোমবার থানা বিএনপির ব্যানারে একটি প্রোগ্রাম করা হয়েছিল কিন্তু আমি এবং থানা বিএনপির সভাপতি সেই প্রোগ্রামের বিষয়ে জানি না। আমাদেরকে জানানো হয়নি। এটা নিয়ে দ্বিমত পোষন করছি। তারা দলে কোন্দল সৃষ্টি করছে। বারী ভূইয়ার আচরণে আমরা নিন্দা জানাই। আমরা যেভাবে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম, সেভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাশেও দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ।
এসময় ফতুল্লা থানাসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ—সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।