বেগমগঞ্জে অভিযানে পণ্যবাহী যানবাহন হতে চাঁদা নেওয়ার সময় ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১,সিপিসি-৩

দৈনিক তালাশ.কমঃ১।র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, মাদক, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজ, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।২। সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় দেশব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। উক্ত জনদূর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা দল তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন স্থানের চাঁদাবাজির তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য কাজ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদনকারীদের নিকট হতে পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ পূর্বক ট্রাক/পণ্যবাহী যানবাহনে পাইকারী ও খুচরা বাজারে পৌঁছানোর সময় পথিমধ্যে নামে, বে-নামে ভূয়া রশিদ অথবা কখনো কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমান অর্থ চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।

৩। এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মোঃ গোলাম মোর্শেদ এর নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ ও সুধারাম থানা এলাকার সংশ্লিষ্ট মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ পণ্যবাহী গাড়ি/সিএনজি/অটোরিক্সাতে চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য সর্বমোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের দখল হতে উদ্ধার করা হয় চাঁদা আদায়ের নগদ আনুমানিক ৯৮,৫১৫ টাকা, ৩৪টি মোবাইল সেট, লাঠিসোঁটা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ।

৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত চাঁদাবাজির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ও এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তারা নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনী, চৌরাস্তা এবং সুধারাম থানাধীন মাইজদী বাজার, দত্তেরহাট, সোনাপুরের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি/সিএনজি/অটোরিক্সাতে চাঁদাবাজি করে। গ্রেফতারকৃতরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ও আভ্যন্তরীণ পণ্যবাহী যানবাহন ঢাকা ও চট্টগ্রাম হতে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের নিকট হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে থাকে। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের গাড়ি ভাংচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। উক্ত চক্র নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায় মহসড়কের উপর প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ি/সিএনজি/অটোরিক্সাতে চালকদের নিকট হতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানা ও সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *