দৈনিক তালাশ.কমঃ মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে ফতুল্লার ভূইগড় মাহমুদপুর বটতলার গোলাপ মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে উঠান ঝাড়ু দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—ফতুল্লা থানার সীমান্ত এলাকার মাহমুদপুর বটতলার মৃত মো. নুর মিয়ার স্ত্রী নুর বানু (৬০) ও তার মেয়ে বিলকিস বেগম (৪০)। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার চরআবাবিল গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে।
এলাকাবাসী জানায়, মাহমুদপুর বটতলা এলাকায় গোলাপ মিয়ার বাড়িতে মা মেয়ে ভাড়া থেকে লোকজনের বাসা-বাড়িতে কাজ করে দিনযাপন করেন। তাদের আত্মীয়স্বজন থাকলেও কেউ তাদের খোঁজ-খবর রাখেন না। বাড়িওয়ালা গোলাপ মিয়া কুমিল্লায় বাস করেন। তার বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে পুরাতন তার দিয়ে। এতে বিদ্যুতের তারের লিকেজ থেকে লোহার খুঁটিতে বিদ্যুৎ চলে আসে। ভোরে বৃদ্ধ মা নূর বানু বাড়ির উঠান ঝাড়ু দেওয়ার সময় সেই খুঁটিতে ধরে চিৎকার দেয়। এসময় মেয়ে বিলকিস বেগম মাকে ধরলে সেও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায়। তখন আশপাশের লোকজন গিয়ে বিদ্যুতের সংযোগের তার বিচ্ছিন্ন করে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই রেজাউল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কয়েকজন এসে বলছেন তারা মামলা করবেন না। এজন্য বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমতি চান। কিন্তু এলাকাবাসী বাড়িওয়ালার অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ করছেন। এজন্য বাড়িওয়ালাকে আইনের আওতায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।