দৈনিক তালাশ.কমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর কড়–ইতলা এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারন মানুষের বাড়ির উপর দিয়েই ড্রেজার পাইপ বসিয়ে বালু ড্রেজারের অভিযোগ উঠেছে গোগনগর ইউপির দুই মেম্বারের বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয়দের দাবী,এরা দুজনই চেয়ারম্যান ফজর আলী আস্থাভাজন হওয়ায় কেউ তাদেরকে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ব্যতিত ইউপি সদস্য রুবেল আহমেদ ও জাহাঙ্গীর হোসেন চেয়ারম্যান ফজর আলীর আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে সৈয়দপুর কড়–ইতলা শিকদার বাড়ির পেছনে বাবু ভুইয়ার জমিটি ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করছে। কিন্তু অনুমতি ব্যতিত ব্যস্ত রাস্তার উপর ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে অনেকটাই উচু করে দেয়ায় উক্ত রোড দিয়ে গাড়ি চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। বিশের করে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন গাড়িগুলোর ( প্রাইভেট কার,হাইচ,নোয়াসহ ) নিন্মাংশে জায়গা কম থাকায় রাস্তার উপর বসানো উক্ত ড্রেজারের পাইপের সাথে লেগে বিভিন্ন মুল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ড্রেজারের পাইপগুলো নদী থেকে বাবু ভুইয়ার বাড়ি পর্যন্ত (১৫শ’ ফিট ) টানতে গিয়ে প্রতিটি বাড়ির উপর দিয়ে আনা হয়। এতে করে অনেক বাড়ির দেয়ারগুলোতে ফুটো করতে হয়েছে। বাড়ির মালিকদের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই চেয়ারম্যানের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রুবেল ও জাহাঙ্গীর মেম্বার এ ড্রেজার পাইপগুলো বাবু ভুইয়ার বাড়ি পর্যন্ত টেনে নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন,দৌলত মেম্বার হত্যা মামলার অন্যতম আসামী গোগনগর ইউপি মেম্বার কয়েক মাস পুর্বে জামিনে এসে তার পুর্বের খোলসটি আবারো প্রকাশ করছেন। ফজর আলী চেয়ারম্যানের খুব কাছের লোক হওয়ার সুবাদে জেল থেকে বেড়িয়ে একের পর অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার সাথে যুক্ত হয়েছেন অপর মেম্বার মো.জাহাঙ্গীর। তারা বলেন,চেয়ারম্যান সাহেব যদি তাদের এ অপতৎরতামুলক কর্মে বাধা প্রদান না করেন তাহলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ দিকে ধাবিত হবেন এ দুই মেম্বার। তারা দুই মেম্বার ড্রেজারের ব্যবসা করতে গিয়ে সাধারন মানুষের বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে যে ক্ষতিসাধন করেছেন এর দায়ভার কে নেবেন চেয়ারম্যান নাকি তার দুই আস্থাভাজন মেম্বার।
এ বিষয়ে রুবেল মেম্বার জানান,ঐটা আমার এলাকা না। আমি ড্রেজারের এই সবে নেই। এ অভিযোগটি কারা দিয়েছে ? আমি এ সবে সম্পৃক্ত নই।
এ জাহাঙ্গীর মেম্বারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ না করে কেটে দেন।