বিয়ের নামে ফাঁদ, একাধিক পুরুষকে নিঃস্ব করেছেন ঝুমা আক্তার

দৈনিক তালাশ.কমঃস্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, প্রতারণা-জালিয়াতি ও নিরীহ লোকদের মামলায় ফেলে হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা বালিখাঁ ইউনিয়নের রাউতন বাড়ী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের মেয়ে নাজমুন নাহার ঝুমা আক্তার এ পর্যন্ত দুইটি অধিক বিয়ে করেছেন। বিয়ে করে কিছুদিন পর সেই স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া এবং তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার ব্যবসা। ঝুমা আক্তারের ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।

তার মূল টার্গেট সম্পদশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী ও প্রবাসী পুরুষ। প্রথমে টার্গেট নিশ্চিত করে তিনি ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজ দেহের সৌন্দর্য ও কথা মালার মারপ্যাঁচে আটকে ফেলেন টার্গেটকৃত পুরুষদের।
বিয়ে করে কিছুদিন পর সেই স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া এবং তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে অর্থ সর্ণের অলংকার হাতিয়ে নেওয়াই তার ব্যবসা।

২০১৭ সালে নাজমুন নাহার ঝুমার প্রথম বিয়ে হয় তারাকান্দা বালিখাঁ ইউনিয়নে ঢাকির কান্দা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়ার সঙ্গে। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামীর ঘর থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে বেরিয়ে যায় তিনি। তার উশৃঙ্খল জীবনযাপন ও বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরকীয়া সহ বেপরোয়া চলাফেরাই ১ এক বছর সংসার করার পর ঝুমা কে তালাক দেন।

ঝুমা আক্তারের দ্বিতীয় বিয়ে হয় ২০১৮সালের ২২শে এপ্রিল ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ৩নং বোররচর ইউনিয়নের বার্তীপাড়া গ্রামের মৃত মাহতাফ উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া ওরফে সোবল এর সঙ্গে।ঝুমা নিজেকে ‘কুমারী’ দাবি করে সোবলের সঙ্গে দুই লাখ আশি হাজার টাকার কাবিননামায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ঝুমা আক্তার। ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং ২য় সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে ঝুমার উশৃংখল জীবনযাপন এবং ও উগ্র আচরণের শিকার হন স্বামী সোহেল মিয়া ওরফে সোবল। একপর্যায়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাপের চলে যান ঝুমা। সোবল মিয়া কে তালাক না দিয়ে তাকে মামলার জালেও ফাঁসানো হুমকি দিচ্ছেন।
নাজমুন নাহার ঝুমা দিনের আলোতে অবিবাহীত পরিচয় দানকারী রাতের আঁধারে গরম করা মক্ষীরাণী। ডিজিটাল পতিতা কাজে গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত মেয়েরা ভুয়া স্বামী বানিয়ে শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে বেড়ায়। মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়েথাকে। স্বামী ত্যাগ করে তালাকপ্রাপ্ত মেয়েরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্বামী নিয়ে বাসা ভাড়া করে এইসব অনৈতিক কাজ করে থাকে।

এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ না নিলে তিনি এভাবে একের পর এক বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে তাদের অর্থ-সম্পদ লুটে নেবে।

অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার পূর্বক তার সব অপকর্ম তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেন তিনি।জুমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এর শেষ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *