দৈনিক তালাশ.কমঃ উজ্জ্বল কুমার সরকার ১৭ মে উপমহাদেশের অন্যতম নৃত্যশিল্পী ও বিশিষ্ট কোরিওগ্রাফার এবং লেখক বুলবুল চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস। তিনি ছিলেন এ দেশে আধুনিক নৃত্যকলার পথিকৃৎ। তাঁর কোনো পূর্বসূরি ছিল না। তাঁর সামনে ছিল না কোনো দৃষ্টান্ত, বরং অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তিনিই আজ আমাদের কাছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। শূন্য থেকে শুরু। দৃঢ় মনোবলে তিনি মুসলমান সমাজের হাজারো বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে, বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পের যে ঐতিহ্য তৈরি করেছেন তা আশ্চর্য বিষয়। ১৯১৯ সালের পহেলা জানুয়ারি চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বুলবুল চৌধুরী। বৃটিশ শাসন আমলে তাঁর বাবা, বাংলার পুলিশ সার্ভিসের পরিদর্শক ছিলেন। দাদা ছিলেন আইনজীবী। বুলবুল চৌধুরী মানিকগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আইএ, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক এবং কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা শিল্প বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়েই তিনি নৃত্য শিল্পের প্রতি আগ্রহী হন। বিভিন্ন নৃত্যগুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তালিম নেন। তাঁর মৃত্যুর ঠিক একবছর পর, ১৯৫৫ সালের ১৭ মে, তাঁর স্ত্রী আফরোজা বুলবুলের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বুলবুল একাডেমি যা এখন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি বা ‘বাফা’ হিসেবে পরিচিত। মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে ১৯৫৪ সালের ১৭ মে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। আজ তাঁর প্রয়াণ দিবসে আধুনিক নৃত্যকলার পথিকৃৎ এই অকাল প্রয়াত শিল্পীর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ।