দৈনিক তালাশ.কমঃময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে ইশ্বরগঞ্জ থানা যুব মহিলালীগ সাধারান সম্পাদক রানী ইসলাম ময়মনসিংহ জেলা মহিলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন করেন । রানী ইসলামের অভিযোগ গত দুই বছর পূর্বে স্বপ্না খন্দকার তাকে ফোন করে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় এবং তারই বাসার মেহমানের সাথে জোড়পূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্যকরে ভিডিও ধারন করে রাখে । রানী ইসলাম বলেন ভিডিও ভাইরাল করে দিবার ভয় দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং ভয়ে আমি এতোদিন কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনি । ইতিমধ্যে মহিলা যুবলীগ নেত্রী স্বপ্না খন্দকার জাওয়াদ নির্জর আইডি থেকে একটি ভিডিও প্রচার ও ভাইরাল করে । তিনি আরো বলেন স্বপ্না খন্দকারের সহযোগী কাজী বাবু,হীরা, তার স্বামী মশিউর রহমান রানা সহ তাকে তৎকালীন সময়ে ব্যাপক মারধর করে। আমি স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্রের ও প্রতারনার শিকার। এই ঘটনার বিচার চেয়ে গত ২ মে ২০২৪ ইং তারিখে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। বিজ্ঞ আদালত ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসিকে এফ,আর, আইভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে রানী ইসলাম সংবাদ সন্মেলনে জানান।
ভাইরাল হওয়া রানী ইসলামের যৌন কর্মের সঙ্গী শরিফুল ইসলাম রানাকে মোবাইলে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন রানী ইসলাম পূর্ব পরিচিত সে ৩/৪ বছর আগে আমার বাসায় ভাড়া ছিল।
যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যায় রানী ইসলাম হাসিখুশী ও সে এই কাজে ইচ্ছেপুষন করেছেন বলে ভিডিওতে দেখা যায় । তাকে জোড় করে বা কেউ বাধ্য করেছে এমন দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়নি।
সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে তার জবাবে তিনি মারধরের ভয়ের কথা বলেন । এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলালীগ সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক স্বপ্না খন্দকারকে তার মোবাইলে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন রানী ইসলাম অর্থ লোভী সম্পর্ক স্থাপন করে যৌনকর্মের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া তার পেশা। আমি তার চারিত্রিক অসৎ কর্মকান্ড খোঁজ পেয়ে প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলা করেছে।
এর পূর্বে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা যুবমহিলালীগ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জেবিন চৌধুরী ও ইশ্বরগঞ্জ থানা যুব মহিলালীগ সাধারন সম্পাদক কোতোয়ালী মডেল থানায় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন স্বপ্না খন্দকারের নামে যাতে উল্ল্যেখ রয়েছে তাদেরকে মেরে লাশ গুম করে ফেলার।