দৈনিক তালাশ.কমঃস্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন নিতাইগঞ্জের পাইকপাড়া হীরা কমপ্লেক্স এলাকায় অসহায় পিয়াংকা রানী দাস (৩৫) নামের এক নারীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নারু গং’দের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১লা মে) ভুক্তভোগী পিয়াংকা রানী দাস বাদী হয়ে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পত্রে, ১| শুনীল সাহা (৮০) পিতা- জগিন্দ্র সাহা, দক্ষিণ বাজার মোড়, বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লা। ২| নারু (৫০), ৩| নারুর স্ত্রী (৪৫), ৪| সুমতী সাহা (৭৫), ৫| জিতু সাহা (৫২), পিতা- জগিন্দ্র সাহা, ৬| শিল্পী সাহা (৪০), ৭| দিলিপ সাহা (৩৫), পিতা- জগিন্দ্র সাহা, সর্ব সাং- আমিনা মঞ্জিল সংলগ্ন হীরা কমপ্লেক্স পাইকপাড়া, নারায়ণগঞ্জ এর নাম উল্লেখ্য করে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৬ বছর পূর্বে ২ শতক জমি ও ৭ ভরি স্বর্ণের প্রলোভন দেখিয়ে ৪নং বিবাদী সুমতী সাহা ও ৬নং বিবাদী শিল্পী সাহা ৭৪ বছরের বৃদ্ধ শুনীল সাহার সাথে আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে স্থানীয়দের সাক্ষ্যমতে আমাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে। বিবাহের পর পরই আমাকে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয় ১নং বিবাদী শুনীল সাহা সহিত সংসার করার জন্য। পরবর্তীতে আমাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় যার নাম শিশির সাহা (৪)।
এরপর গত কয়েক মাস যাবৎ আমি কিডনী রোগে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি বিধায় চিকিৎসার জন্য ১নং বিবাদী শুনীল সাহার নিকট বার বার অনুরোধ করেও কোন প্রকার চিকিৎসা না পেয়ে খুব কষ্টে থাকা অবস্থায় শুনীল সাহার আদেশে গত দুই মাস পূর্বে আমাকে এবং আমার শিশু সন্তান সহ নারায়ণগঞ্জ আমার পিতার নিকট আসলে বিবাদী শুনীল সাহা আমার সহিত সর্বপ্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। লোক মারফত আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে জানতে পাই যে, ১নং বিবাদী শুনীল সাহা আমাকে ও আমার শিশু সন্তানকে অস্বীকার করিতেছে।
পরবর্তীতে ১নং বিবাদী শুনীল সাহার আত্মীয় স্বজন অন্যান্য বিবাদীগণের সহিত যোগাযোগ করার জন্য গত ৩০/০৪/২০২৪ইং তারিখ বিকেল অনুমানিক ৪:০০ ঘটিকায় পাইকপাড়া আমিনা মঞ্জিল সংলগ্ন হীরা কমপ্লেক্সে উপস্থিত হইলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাত পিছমুড়া করে ও পা বেধে দাঁড়া করিয়ে রাখে এবং বাশের নল ও সাইকেলের টায়ার দিয়ে ২ নং বিবাদী নারু ও ৩নং বিবাদী নারুর স্ত্রী সহ সকলে রাত অনুমানিক ১০:০০ ঘটিকা পর্যন্ত টর্চার করতে থাকে এবং উক্ত সময়ের সারাক্ষণ আমাকে বেধেঁ দাড় করিয়ে রাখে। পরে ২ নং বিবাদী নারু ও ৫ নং বিবাদী জিতু সাহা আমার দুই হাতে থাকা ৬টি স্বর্নের আংটি পাথর সহ অনুমানিক ওজন প্রায় ৩ ভরি এবং গলায় থাকা ১টি স্বর্নের চেইন রকেট সহ অনুমানিক ওজন ১ভরি এবং ১জোড়া কানের ঝুমকা ৮ আনি ওজনের জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে বিবাদীগণের অত্যাচার অতিষ্ঠ হয়ে আমার ডাক চিৎকারে বাড়ীর বাহিরে লোকজন জড় হলে বিবাদীগণ আমাকে রাত অনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় মুক্ত করে দেয়। পরবর্তীতে ১/০৫/২০২৪ইং আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হইলে আমি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করি।
এমতাবস্থায় আমার শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ, আমার ভবিষ্যৎ ও কিডনি রোগ নিয়ে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় জীবনযাপন করছি। এবিষয়ে আমরা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করে সুবিচারের দাবি জানাচ্ছি।