দৈনিক তালাশ.কমঃউজ্জ্বল কুমার সরকারঃআজ ১৫ ফেব্রুয়ারি মরমী সাধক বাউল কবি দুর্বিন শাহ’র প্রয়াণ দিবস। দূর্বীন শাহ (জন্মঃ ৩ নভেম্বর ১৯২০- মৃত্যুঃ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭) বাংলাদেশের একজন মরমী গীতিকবি, বাংলা লোকসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার ও বাউল সাধক।
তিনি ১৯২০ সালের ২ নভেম্বর ছাতকের সুরমা নদীর উত্তর পারে নোয়ারাই গ্রামের তারামনি টিলায় জন্মগ্রহণ করেন।এই তারামনি টিলা কালান্তরে দূরবীন টিলা নামে পরিচিত হয়। তার পিতা সফাত আলি শাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক এবং মা হাসিনা বানু ছিলেন একজন পিরানী। ফলে সঙ্গীতচর্চার একটা পারিবারিক ঐতিহ্যেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। মাত্র সাত বছর বয়সে বাবাকে হারান। ১৯৪৬ সালে সুরফা বেগমের সঙ্গে বিয়ে তার বিয়ে হয়।
তার অধিকাংশ গানে সুফি ও মরমীবাদ যথেষ্টভাবে ফুটে উঠলেও এসবের বাইরে ভিন্ন মেজাজের অসংখ্য গান লিখেছেন। শ্রেণী বিভাজন করলে এসব গানগুলোকে বাউল, বিচ্ছেদ, আঞ্চলিক, গণসংগীত, মালজোড়া, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, গোষ্ঠ, মিলন, রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলী, হামদ-নাত, মারফতি, পির-মুর্শিদ স্মরণ আলা স্মরণ, ওলি স্মরণ, ভক্তিগীতি, মনঃশিক্ষা, সুফিতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, কামতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব, পারঘাটাতত্ত্ব, দেশের গানসহ বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এছাড়া বিবিধ শিরোনামে তার রচিত আরো বিভিন্ন পদাবলীকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।তিনি ১৯৬৭ সালে প্রবাসী বাঙালিদের আমন্ত্রণে ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন। অন্যতম সফর সঙ্গী ছিলেন বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম, সেখানে তার গানের কথা ও সুরে বিমোহিত হয়ে সঙ্গীত প্রেমীরা তাকে ‘জ্ঞানের সাগর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি ৫৭ বছর বয়সে ১৯৭৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর প্রয়াণ দিবসে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
নওগাঁ।