বন্দরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূসহ আহত-৩

দৈনিক তালাশ.কমঃক্রাইম রিপোর্ট : বন্দরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে শ্লীতাহানীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে নীলা ফুলা জখম করা অভিযোগ পাওয়া গেছে লম্পট দোকানী সিরাজ উদ্দিনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো গৃহবধূ জোৎস্না বেগম (৩০) তার স্বামী রনী মিয়া (৩৪) ও প্রতিবেশী রুমা আক্তার (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে লম্পট দোকানীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্দের চিড়াইপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আহতদের সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চিড়াইপাড়া এলাকার মৃত সামাদ মুন্সির ছেলে সিরাজ উদ্দিন ওরফে সেরউদ্দিন মিয়া উল্লেখিত এলাকায় মুদি দোকান চালিয়ে আসছে। এ সুবাদে একই এলাকার রনি মিয়ার স্ত্রী জোৎস্না বেগম বিভিন্ন সময়ে উল্লেখিত দোকান থেকে সদাই আনতে গেলে লম্পট দোকানী সিরাজ উদ্দিন ওরফে সেরুউদ্দিন তার সাথে অশুভ আচরণ করাসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত রোববার সন্ধ্যায় উল্লেখিত গৃহবধূ সদাই নিতে দোকানে আসলে ওই সময় লম্পট দোকানী ভুক্তভোগী গৃহবধূকে পুনরায় কুপ্রস্তাব দেয়। এই ঘটনায় গৃহবধূ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে ওই সময় লম্পট দোকানি সিরাজ উদ্দিন ওরফে সেরউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই গৃহবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করাসহ শ্লীতাহানী করে। গৃহবধূ চিৎকারে শব্দ শুনে তার স্বামী রনি মিয়া ও প্রতিবেশী রুমা আক্তার দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় খবর পেয়ে লম্পট দোকানের দুই ছেলে খাইরুল বাশার ও রাসেল একই এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে রাজুসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী লোহার রোড, এস এস পাইপ ও লাঠি সোটা নিয়ে উল্লেখিত তিন জনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময়ে হামলাকারীরা গৃহবধূ জোৎস্না বেগম ও তার স্বামী রনি ও প্রতিবেশী গৃহবধূ রুমা আক্তার কে বেদম ভাবি পিটিয়ে নিলা গুলা যখম করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানিয়েছে, লম্পট দোকানী সিরাজ উদ্দিন খারাপ প্রকৃতির লোক সে দীর্ঘ দিন ধরে তার দোকানে সদাই নিতে আসা বিভিন্ন গৃহবধুদের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এসব ঘটনা নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় লম্পট দোকানী বিরুদ্ধে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *