দৈনিক তালাশ.কমঃ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শনিবার ( ২রা ডিসেম্বর ) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষও আতকে উঠে। অনেকেই দালান ও ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে বা খোলা স্থানে দাঁড়িয়ে যায়।
এ জেলার বাসিন্দারা জানান, এতো বড় ঝাঁকুনি বিগতসময় খুব কমই টের পেয়েছি। আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো দালান ধসে পড়তো। তাই যে যেভাবে পেরেছে সড়কে বা খোলা স্থানে দৌড়ে চলে গেছে। তবে এ চলে আসাকে সকলেই মনের সান্তনা বলছেন। কারণ, যেসকল সড়ক বা খোলা স্থান রয়েছে তার আশেপাশে সবজায়গায় মাথার উপর উঁচু উঁচু দালান। তাই ধসে পড়লে বাচাঁর আর কোন উপায় নাই। কেউ কেউ ঘরে বসেই আল্লাহকে ডাকছে। আবার সড়কে চলাচলরত অনেকেই বলছে, তারা তেমন একটা অনুভূত পায়নি। বিভিন্ন বস্তু কাপতে দেখে মানুষের চিৎকারে বুঝতে পরেছে ভূমিকম্প হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানিয়েছেন, এর উৎপত্তিস্থল অক্ষাংশ ২৩.১৩৫° উত্তর, দ্রাঘিমা ৯০.৯১৯° পূর্ব রামগঞ্জ, কুমিল্লা। উৎপত্তিস্থল হতে দূরত্ব ৮৬ কি.মি. ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা হতে দক্ষিণ পূর্ব দিকে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৬ রিখটার স্কেল। ভূমিকম্পের শ্রেণী মাঝারি।
এছাড়াও ভারতে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের ত্রিপুরা থেকে প্রায় ৫৯ মাইল দূরে। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভূটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে এর কম্পন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের গোয়ালপাড়ায়।
এছাড়া গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল চার দশমিক ২। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইলে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১১টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে দেশে। এতে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।