দৈনিক তালাশ.কমঃউজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃনওগাঁর সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে গত মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর সকালে রিংকু আক্তার (১৮)নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ।
নিহত রিংকু আক্তার জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের রাইকালী গ্রামের মৃত রাজ্জাকের মেয়ে।
আটকরা হলেন,জয়পুরহাট জেলা আক্কেলপুর উপজেলার মাটিয়াকুরি গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে নাঈম ও সহযোগি হিসেবে একই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মন্ডলের ছেলে আলাউদ্দীন কে আসামী করে নিহত রিংকুর মা শাহিনা বেগমকে বাদী করে একটি হত্যা মামলা নিয়েছে পুলিশ।
থানা সুত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর দিবাগত-রাতে রাজশাহীর পবা থানা ও জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলে দু’জনকে আটক করা হয়েছে, আটকের পড়ে তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নওগাঁ সদর মডেল থানার দেওয়া তথ্য মতে আরও জানা যায়,নিহত রিংকু ও নাঈমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এই সম্পর্ক পরিবারে বাধা হয়ে দাঁড়ালে গত সোমবার ২৭ নভেম্বর সকালে এই তারা কোর্ট ম্যারেজ করে বিবাহের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অটো রিক্সায় করে রাজশাহী কোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়,দুজনের মধ্যে নওগাঁ কোর্টে অথবা রাজশাহী কোর্টে কোর্ট ম্যারেজ করা নিয়ে তর্ক বিতর্ক আর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সদর উপজেলার চকগৌড়ি মেইন রাস্তায় অটো রিক্সা থেকে মেয়েটি পড়ে যায় অত:পর মেয়েটির মাথা ও হাত পায়ে গুরুতর যখম হলে তাকে বাচানোর জন্য তার প্রেমিক নাঈম দ্রুত মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরামর্শ দেন এবং রাজশাহী রিংকুকে রেফার্ড করেলে প্রেমিক নাঈম ভই পেয়ে তার বাবা আলাউদ্দীনের সাথে আলোচনা করলে তার বাবা রাজশাহী ইসলামি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়,দ্রুত এম্বুল্যান্স যোগে তাকে রাজশাহী ইসলামি হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নাঈম ও তার বাবা ভয় পেয়ে রিংকুর লাশটি ওই রাতের আধারে তিলকপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তুলশীগঙ্গা নদীর বেড়িবাঁধের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ ঘটনায় দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে,নাঈম ও রিংকুর মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, তারা বিবাহের জন্য রাজশাহী যেতে লেগে রাস্তায় মেয়েটি পড়ে যায়,একটি কলেজ ব্যাগ, একটি ভ্যান জব্দ করে হত্যা মামলায় তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।