আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনজুড়ে আবারও বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার সকালে কয়েকটি অঞ্চল ও শহরে বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলা প্রতিহতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে। রাজধানী কিয়েভের একজন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ক্ষুদে বার্তায় জানান, সকালে বিস্ফোরণের শব্দে ঘুমে ভেঙে গেছে। অনেকটা ভূমিকম্পের মতো মনে হচ্ছিল। শুক্রবার সকালে মধ্য ইউক্রেনের ডিনিপ্রো, ক্রেমেনচুক এবং পোলতাভার পাশাপাশি দক্ষিণে মাইকোলাইভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এমনই তথ্য দিয়েছে ইন্টারফেক্স ও ইউক্রেনের নিউজ এজেন্সি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে ইউক্রেনের মধ্য চেরকাসির কাছে একটি আবাসিক ভবনে আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা। চেরকাসির গভর্নর ইহর তাবুরেতস টেলিগ্রামে জানান, জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমাদের বাহিনী সতর্ক অবস্থানে। ডিনিপ্রো শহরের মেয়র বরিস বলেন, রাতের হামলায় একজন নারী ও তিন বছরের এক শিশু নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির মধ্যেই এমন হামলার ঘটনা ঘটলো।
এ ঘটনায় মস্কোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরুর আগে ন্যাটো মিত্র ও অংশীদারদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র পেয়েছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ১ হাজার ৫৫০টি আর্র্মড ভ্যাহিক্যাল এবং ২৩০টি ট্যাংক পেয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা