মেঘনায় যাত্রীবাহী দুই লঞ্চ ও বুড়িগঙ্গায় সংঘর্ষে নিহত ৪ নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

দৈনিক তালাশ ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গায় নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুই শ্রমিক জহিরুল ইসলাম ও হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিখোঁজ শ্রকিদের ‍উদ্ধার অভিযান।

ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১০ ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টায় বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় নিখোঁজদের মরদেহ। পরে পাগলা নৌপুলিশের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ভোর ৬টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধিন ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটে। বুড়িগঙ্গা নদীর পূর্বপাড়ে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে চারপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

দুপুর থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বিকেল সাড়ে ৩টায় তাদের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে নামে স্থানীয় বেসরকারি ডুবুরি দল।

মৃতরা হলেন-বাল্কহেডের দুই লস্কর মোহা. জহুরুল ইসলাম শাকিল (২৫) ও হাসান (২০)। শাকিলের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায় এবং হাসানের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে।

নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ভোরে এম বি কাশফা স্নেহা নামে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় নদীর তীরে নোঙর করা ছিল। বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন-১৬ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঘন কুয়াশার কারণে বাল্কহেডটিকে দেখতে না পেয়ে পেছেন থেকে ধাক্কা দেয়। তখন বাল্কহেডটি নদীতে তলিয়ে গেলে ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা পাঁচজন শ্রমিক ডুবে যান। তবে তাদের মধ্যে তিনজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও জহিরুল ও হাসান নিঁখোজ হন। খবর পেয়ে পাগলা নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। পরে বিকেলের দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ফয়েজ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লঞ্চটি আটক করে রাজধানীর সদরঘাটে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *