দৈনিক তালাশ ডটকমঃ সৈয়দ মহসীন হাবীব সবুজ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার টেরকি দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ ও যুব সমাজের যৌথ উদ্যোগে এক মহিমান্বিত তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বাদ আসর হতে মসজিদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ আয়োজন। মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা ইসলামিক চিন্তাবিদ, মুফাসসিরে কোরআন ও আলেম সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাফসীরুল কোরআন পেশ করেন।
🌙 সভাপতির বক্তব্য
সভাপতি মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,
“এই মাহফিলের মাধ্যমে এলাকাবাসী কোরআনের বাণী বুঝে জীবন গঠনের সুযোগ পাচ্ছে। কোরআনের নির্দেশনা মেনে চললেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।”
📖 হাফেজ সৈয়দ নুরুন্নবী হোসেন
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও কোকিল কণ্ঠী বাস্তববাদী বক্তা হাফেজ সৈয়দ নুরুন্নবী হোসেন তাঁর তাফসীরে বলেন,
“কোরআন হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য পথনির্দেশ। এই কিতাবের আলোকে চললে কোনো মানুষ পথভ্রষ্ট হতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন,
“আজকের সমাজে কোরআন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই অশান্তি ও অন্যায় বেড়ে গেছে। ঘরে ঘরে কোরআনের আলো ফিরিয়ে আনতে হবে।”
🌿 মুফতি আবু ইউসুফী
বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন হযরত মুফতি আবু ইউসুফী তাঁর বয়ানে বলেন,
“রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে ব্যক্তি, যে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’” (সহিহ বুখারি)
তিনি বলেন,
“কোরআন শুধু তেলাওয়াতের জন্য নয়, এটি জীবনের দিকনির্দেশনা। কোরআনের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করলেই দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি সম্ভব।”
🌺 মাওলানা নূর মোহাম্মদ
এলেঙ্গা বাগানবাড়ি জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা নূর মোহাম্মদ বলেন,
“মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা দিয়েছে। সালাত, যাকাত, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা—এই চারটি গুণই একজন মুসলমানকে আল্লাহর নিকটে প্রিয় করে তোলে।”
🌟 প্রধান বক্তা মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (কুয়াকাটা)
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ও সুরসম্রাট ঢাকার মুগদা ঝিলপাড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (কুয়াকাটা) তাঁর আবেগঘন বয়ানে বলেন,
“কোরআন এমন এক নূর, যা মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই এই কোরআন এমন পথে পরিচালিত করে, যা সর্বাধিক সঠিক।’ (সূরা আল-ইসরা: ৯)”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা যদি নিজেদের জীবনে কোরআনের শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তির ধারা ফিরে আসবে।”
শেষে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।