দৈনিক তালাশ ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, আমি ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি থেকে আজ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। আপনারা আমাকে চেনেন, আমি কেমন? আমি কী এ ধরণের কাজের সাথে জড়িত থাকতে পারি? বলা হচ্ছে সেই বাবু নাকি আমার ভাতিজা। আমি ইতিমধ্যেই বলেছি, বাবু আমার কোন ভাইয়ের সন্তান না। আমি যেহেতু রাজনীতি করি অনেকেই আমার ভাইয়ের মতো এবং ভাতিজার মতো। তাই বলে কী তাদের অপরাধের দায় আমাকে নিতে হবে?
শনিবার (১৪ই জুন) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যােগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমাকে একটি মহল কাল্পনিক গল্প বানিয়ে এ মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। আমার রাজনৈতিক জীবনকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য তারা এ কাজ করছে। আমি বলতে চাই, আপনারা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন, নয়তো স্বেচ্ছাসেবক দল বসে থাকবে না। নারায়ণগঞ্জের গডফাদার কীভাবে পালিয়েছে? কারা শেল্টার দিয়েছে সবাই জানে। তাদের ব্যবসা বাণিজ্য তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমি দোয়া করি আপনি জনপ্রতিনিধি হন, কিন্তু কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না। আমি বাবুলের ছোট ভাই মামুনের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে দাবী জানাই, এই নৃশংস ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়।
এছাড়াও মাহবুবুর রহমান বলেন, বিগত সময় অনেক জেল জুলুম খেটেছি এবং এই শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে আমরা বাধ্য করেছি। গতকাল আমার ছবিতে ফাঁসির দড়ি দিয়ে মানববন্ধন করেছে আওয়ামী লীগের দোসররা। সেই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। যিনি আন্দোলনের সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন আর বিএনপির রাজনীতি করবো না, আমি তাবলীগ জামাতে চলে গিয়েছি। সেই লোক জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছে। যারা সতেরো বছর রূপগঞ্জে কোনো কর্মসূচি করতে পারেনি তারা আজ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাইছে। রূপগঞ্জে এই পর্যন্ত আটটি মার্ডার হয়েছে। আজ তারা সাধু সেজে বলে আমি নাকি এই হত্যার ইন্ধনদাতা।
এসময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, এস কে মো. সাহীদ, সোনারগাঁ থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ, রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহম্মদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, তারাবো পৌরসভা সদস্য সচিব নাঈম, ফতুল্লা থানা আহ্বায়ক সদস্য মোক্তার, দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি পদপ্রার্থী ও নিহতের চাচা সালাউদ্দিন সরকার সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।