?> সত্যের সন্ধানে দৈনিক তালাশ ডট কম – Page 456 – dailytalas.com

Blog

  • জুমার দিনে মুসল্লির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আমল

    জুমার দিনে মুসল্লির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আমল

    ধর্ম  ও জীবন ডেস্ক : মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইসলামের অন্যতম একটি ইবাদত। জুমার দিন অনান্য ইবাদাতের জন্যও রয়েছে অতিরিক্ত সওয়াবের হুকুম। তাই এই দিনটিকে সঠিকভাবে পালন করা জরুরি। প্রত্যেক মুসল্লির জন্য এদিন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। আমলগুলো কী?

    ১. জুমার জন্য পরিচ্ছন্ন হওয়া
    জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করা জরুরি। অনেকে এই দিনে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে, কোনো রকম জুমার ফরজ দুই রাকাত আদায় করে চলে আসেন। অথচ হাদিসে এসেছে-
    হজরত আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব (জরুরি)। আর মিসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। ’ (বুখারি, মুসলিম ৮৪৬)
    তাই সবার উচিত জুমার দিন গোসল করা এবং মিসওয়াক করা। যদি সামর্থ্য থাকে, সুগন্ধি ব্যবহার করা। এছাড়াও ভাল ও পরিচ্ছন্ন জামা পড়ে মসজিদে যাওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও এই দিন ভালো ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতেন।

    ২. দ্রুত মসজিদে যাওয়া
    জুমার নামাজ কেবল দুই রাকাত নামাজ আদায়ই যথেষ্ট নয়, বরং জুমার খুতবা শোনাও জরুরি। তাই জুমার খুতবা শোনা এবং নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে দ্রুত যাওয়া আবশ্যক। এতে মিলবে কোরবানির সওয়াব। হাদিসে পাকে এসেছে-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (সহবাস পরবর্তীকালে) গোসলের মতো গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে, সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে, সে যেন একটি গাভী কোরবানি করলো। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে, সে যেন একটি শিং-বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করলো। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করলো সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করলো। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করলো, সে যেন একটি ডিম কোরবানি করলো। (বুখারি ৮৮১)
    তাই জুমার নামাজের দিন পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম। তাহলে সময়মতো ও সঠিকভাবে দ্রুত নামাজ আদায়ে মসজিদে যাওয়া সম্ভব।

    ৩. জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ না করা
    জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ করা নিষিদ্ধ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদের দিকে যাওয়া জরুরি। জুমার প্রথম আযান শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায় কিংবা অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া অথবা নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া উচিত। হাদিসে পাকে এসেছে-
    হজরত ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাইদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরে জুমার জন্য যেতেন, তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাদের বলা হলো, যদি তোমরা গোসল করে নিতে ভালো হতো…। (বুখারি ৯০৩, মুসলিম ৮৪৭)

    ৪. মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা
    খুতবা শোনা জুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ঠিকভাবে খুতবা শোনাও জরুরি। তবে যদি মুসল্লি বেশি হওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে খুতবার আওয়াজ না শোনা যায়, তবে নিরব থাকা নিয়ম। হাদিসে এসেছে-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওযু করে জুমার নামাজে এলো, নীরবে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনলো, তাহলে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং আরও অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) কঙ্কর স্পর্শ করলো, সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করলো। (মুসলিম ১৮৭৩)
    প্রসঙ্গত আরবি ও বাংলায় দেওয়া উভয় খুতবাই মনোযোগ দিয়ে শোনা জরুরি।

    ৫. খুতবার সময় কথা না বলে চুপ থাকা
    খুতবা শোনা ওয়াজিব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লিকে চুপ থাকো বলবে, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।’ (বুখারি  ৯৩৪, মুসলিম ৮৫১)

    তাই জুমার খুতবা চলাকালিন পাশে কেউ কথা বললেও তাকে থামাতে চুপ থাকার কথা বলাও নিষেধ। খুতবার সময় কেউ কথা বললে তাকে চুপ থাকতে বলাও উচিত নয়। অর্থাৎ খুতবার সময় মুখ পুরোপুরি বন্ধ রাখা চাই।
    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লিখিত পাঁচটি আমল যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • ম্যানইউকে জিততে দিলো না টটেনহ্যাম

    ম্যানইউকে জিততে দিলো না টটেনহ্যাম

    খেলাধুলা ডেস্ক : আগের ম্যাচে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের কাছে ১৯ মিনিটে ৫ গোল হজম করেছিল টটেনহ্যাম হটস্পার। চার দিন পর সেই দলই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ালো। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যানইউ তাতে পয়েন্ট হারালো। বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ২-২ গোলে স্বাগতিকদের সঙ্গে ড্র করেছে ইউনাইটেড। ২ পয়েন্ট হারিয়ে নিউক্যাসেলকে (৬২) হারিয়ে সেরা তিনে ওঠা হলো না তাদের। ৩১ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে চারে এরিক টেন হ্যাগের দল। দুই ম্যাচ বেশি খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাস্টন ভিলাকে টপকে পাঁচে টটেনহ্যাম। জ্যাডন সানচো ও মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের গোলে প্রথমার্ধের নিয়ন্ত্রণ ছিল ম্যানইউর হাতে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেদ্রো পোরোর জাদুতে ব্যবধান কমায় স্পাররা। সন হিউং মিনের শেষ দিকের গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে তারা। সাত মিনিটে র‌্যাশফোর্ডের পাস থেকে বল নিয়ে নিচু ড্রাইভে দূরের পোস্টে ফ্রেসার ফরস্টারকে পরাস্ত করেন সানচো। গোল পেতে মরিয়া ছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু ইভান পেরিসিচকে ঠেকান ডেভিড ডি গিয়া। তারপর রিচার্লিসনের শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে যায়, সনকে ব্লক করে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার। বিরতির ঠিক আগে ব্রুনো ফার্নান্দেসের অ্যাসিস্টে অতিথিদের ২-০ গোলে এগিয়ে দেন র‌্যাশফোর্ড।

    ড্রেসিংরুম থেকে এসে টটেনহ্যামের গর্জন। ৫৫ মিনিটে ডিওগো ডালোটের ক্লিয়ারেন্সে বল পেয়ে ডান দিক দিয়ে কোনাকুনি শটে ডি গিয়াকে পরাস্ত করেন পোরো। কয়েক সেকেন্ড পর টটেনহ্যাম আবার ২ গোলে পিছিয়ে পড়তে পারতো। কিন্তু ফার্নান্দেস হতবাক করে ক্রসবারে আঘাত করেন। তার সামনে কেবল ফরস্টার ছিলেন! এরপর এরিক ডায়ারের হেড গোলবারের পাশ দিয়ে গিয়ে হতাশ করে টটেনহ্যামকে। অবশেষে সমতা ফেরানো গোল পায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেন ডান দিক দিয়ে নিচু ক্রস দেন দূরের পোস্টে অপেক্ষমাণ সনকে। কোরিয়ান তারকা হতাশ করেননি। স্বাগতিক দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান।

  • মেটার আয় বেড়েছে তিন শতাংশ

    মেটার আয় বেড়েছে তিন শতাংশ

    অনলাইন ডেস্ক : মন্দার পর আয়ের দিক থেকে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছে ফেসবুক। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার আয় বেড়েছে তিন শতাংশ। খবর বিবিসির।

    কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মাসে গড়ে তিন বিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন এর অন্তত একটি অ্যাপ ব্যবহার করেছে, যা গত বছরের মার্চের চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি।
    তাছাড়া কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।

    সম্প্রতি ব্যয় কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কর্মী ছাঁটাই।
    মূলত টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, অ্যাপলের গোপনীয়তায় পরিবর্তন ও বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ার ফলে গত বছর কোম্পানিটির আয় কমে যায়।

    মেটা জানিয়েছে, মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে তাদের আয় হয়েছে ২৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে লাভ হয়েছে ৫ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার।

    এদিকে বাংলাদেশে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন সীমিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে ফেসবুকের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এইচটিটিপুলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে তারা সেবা দিতে পারছে না। কারণ মেটা প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের জন্য তাদের বিজ্ঞাপনী স্পেস সীমিত করেছে।
    গ্রাহকদের পাঠানো এক চিঠিতে এইচটিটিপুল জানায়, বিশ্ববাজারে ডলার সংকট এবং রেমিট্যান্স সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে তারা আপাতত বিজ্ঞাপন নেওয়া বন্ধ রেখেছে।

  • ফের ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    ফের ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনজুড়ে আবারও বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার সকালে কয়েকটি অঞ্চল ও শহরে বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলা প্রতিহতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে। রাজধানী কিয়েভের একজন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ক্ষুদে বার্তায় জানান, সকালে বিস্ফোরণের শব্দে ঘুমে ভেঙে গেছে। অনেকটা ভূমিকম্পের মতো মনে হচ্ছিল। শুক্রবার সকালে মধ্য ইউক্রেনের ডিনিপ্রো, ক্রেমেনচুক এবং পোলতাভার পাশাপাশি দক্ষিণে মাইকোলাইভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

    এমনই তথ্য দিয়েছে ইন্টারফেক্স ও ইউক্রেনের নিউজ এজেন্সি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে ইউক্রেনের মধ্য চেরকাসির কাছে একটি আবাসিক ভবনে আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা। চেরকাসির গভর্নর ইহর তাবুরেতস টেলিগ্রামে জানান, জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমাদের বাহিনী সতর্ক অবস্থানে। ডিনিপ্রো শহরের মেয়র বরিস বলেন, রাতের হামলায় একজন নারী ও তিন বছরের এক শিশু নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির মধ্যেই এমন হামলার ঘটনা ঘটলো।

    এ ঘটনায় মস্কোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরুর আগে ন্যাটো মিত্র ও অংশীদারদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র পেয়েছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ১ হাজার ৫৫০টি আর্র্মড ভ্যাহিক্যাল এবং ২৩০টি ট্যাংক পেয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা

  • টাকা ও রুপিতে লেনদেন বাংলাদেশ-ভারত

    টাকা ও রুপিতে লেনদেন বাংলাদেশ-ভারত

    অর্থনীতি ডেস্ক :  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ডলার সংকটে পরে অনেক দেশ। এমন অবস্থায় ডলারের ওপর চাপ কমাতে টাকা ও রুপিতে লেনদেন করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এজন্য অ্যাকাউন্ট খোলা হবে সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংকে।

    সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেলে টাকা কিংবা রুপিতে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্ভব হবে। এতে ডলারের ওপর চাপ কমে আসবে। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আমাদের ডলারের ওপর যে চাপ আছে সেটি কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিতে আমরা ডলার ছাড়াও অন্য মুদ্রা ব্যবহার করতে পারছি, এটি একটি বড় সুবিধা।

    তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশই বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন করছে। খরচ কমাতে দিল্লির প্রস্তাব বিবেচনায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েক বার মুদ্রাকে রূপান্তর করতে হয়। এই ধরনের পরিবর্তনকে কমানোর জন্য সরাসরি টাকাণ্ডরুপি লেনদেনের বিষয়টি চিন্তা করা হয়েছে। ভারতের যে প্রস্তাব, সেটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি। এতে আমাদের জন্য খরচ হয়তো অনেক কমানো সম্ভব হবে।

    দুই দেশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে, এই প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন তারা। পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক এবং অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমদানি-রপ্তানি দুই ক্ষেত্রেই লেনদেন রুপিতে হলে সমস্যা নেই। তবে অন্য দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে ভারতে রপ্তানি করলে কিন্তু লেনদেনের খরচ বাড়বে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে আমদানির পরিমান ১৩ বিলিয়নেরও বেশি।

  • নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

    নির্বাচন সুষ্ঠু করতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের

    স্টাফ রিপোর্টার : আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এই নির্বাচনে কেউ বাধা দিতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে, ভবিষ্যতেও আসবে। তাই দেশবাসীর নিরাপত্তা ও জানমাল রক্ষা করা আমাদের কাজ। সরকার জেনেবুঝে বিএনপির মতো একটি দলের হাতে দেশ পরিচালনার ভার তুলে দিতে পারে না।’

    তিনি বলেন, বিএনপির কাজ দেশের সম্পদ ধ্বংস করা, টাকা পাচার করা, পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করা। ফলে ওই দলের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের জানমাল রক্ষায় নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে।

  • ঝড়বৃষ্টি নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অধিদফতর

    ঝড়বৃষ্টি নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অধিদফতর

    মহানগর ডেস্ক : রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে এই ঝড়বৃষ্টি বৃহস্পতিবারের (২৭ এপ্রিল) মতো তীব্র হবে না।

    শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে হালকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই ঝড়বৃষ্টি গতকালের মতো তীব্র হবে না।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজধানীতে হঠাৎ দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

    আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ ৭৪ কিলোমিটার এবং আগারগাঁওয়ে ৬০ কিলোমিটার ঝড়ের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে।

    এদিকে শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

     

     

  • অনেক পুরনো রেকর্ড ভাঙলেন জয়াসুরিয়া

    অনেক পুরনো রেকর্ড ভাঙলেন জয়াসুরিয়া

    খেলাধুলা ডেস্ক : অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি কভার ড্রাইভ করলেন পল স্টার্লিং। ক্ষণিকের জন্য হাওয়ায় ভেসে যাওয়া বল এক্সট্রা কভারে খানিক নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন কুসল মেন্ডিস। বাতাসে হাত ছুড়ে উল্লাসে মাতলেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ানকে ফেরানো ছাপিয়ে এই উদযাপনে যেন মিশে থাকল দীর্ঘদিনের পুরনো রেকর্ড ভাঙার তৃপ্তি। ৪৩ উইকেট নিয়ে গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামেন জয়াসুরিয়া। প্রথম ইনিংসে আরও ৫টি নিয়ে পৌঁছে যান পঞ্চাশের দুয়ারে। দ্বিতীয়ভাগে পিটার মুর ও স্টার্লিংকে আউট করে স্রফে ৭ টেস্টেই ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটের ফিফটি পূরণে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম এবং স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম জয়াসুরিয়া।

    ১৮৮৮ সালে স্রফে ৬ টেস্টে ৫০ উইকেট নেন চার্লি টার্নার। প্রায় ১৩৫ বছর ধরে অক্ষত রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ডানহাতি পেসারের এই রেকর্ড। জয়াসুরিয়াসহ টার্নারের রেকর্ডের খুব কাছে যেতে পেরেছেন ৩ জন বোলার। ১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডের থমাস রিচার্ডসন ৫০ উইকেট নেন ৭ টেস্টে। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা। ২০১২ সালে ৭ টেস্টে উইকেটের পঞ্চাশ পূরণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ভার্নন ফিল্যান্ডার। ১১ বছরের মাথায় রিচার্ডসন-ফিল্যান্ডারের পাশে বসলেন লঙ্কান স্পিনার। তবে স্পিনারদের মধ্যে ৩১ বছর বয়সী লঙ্কান বোলারই সবার উপরে। ১৯৫১ সালে ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে ৫০ উইকেট পূরণ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আলফ ভ্যালেন্টাইন। ৭১ বছরের বেশি সময় পর স্পিনারদের মধ্যে তাকে দুইয়ে নামিয়ে দিলেন জয়াসুরিয়া।  শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে দ্রুততম ৫০ উইকেট ছিল দিলরুয়ান পেরেরার।

    ২০১৬ সালে ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্টে এই রেকর্ড গড়েন ডানহাতি অফ স্পিনার। সাত বছরের মাথায় জয়াসুরিয়ার কাছে রেকর্ডটি হারালেন পেরেরা। গত বছরের জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক জয়াসুরিয়ার। বছর ঘোরার আগেই দারুণ কীর্তি গড়লেন তিনি। সাত ম্যাচের ১৩ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ৬ বার ৫ উইকেট ও ম্যাচে ২ বার ১০ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। সাত ম্যাচের পাঁচটিই গলে খেলেছেন। গলে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই তার শিকার হন ৬ জন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে আরও ৯ উইকেট নেন জয়াসুরিয়া। সেখান থেকে আর থামাথামি নেই। নিউ জিল্যান্ড সফরের দুই ম্যাচের তিন ইনিংসে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। ধরতে পারেন স্রফে ৪ শিকার। এ ছাড়া গলে খেলা বাকি ৫ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ৪৬ উইকেট নিয়েছেন জয়াসুরিয়া।

  • ইনিংস ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার জয়

    ইনিংস ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার জয়

     খেলাধুলা ডেস্ক : প্রথম ইনিংসে চমৎকার পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা দ্বিতীয়ভাগে নিজেদের হারিয়ে খুঁজলেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই করলেন হ্যারি টেক্টর। কিন্তু পারলেন না ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে। তাদেরকে গুঁড়িয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের শততম জয় তুলে নিল শ্রীলঙ্কা। গলে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শুক্রবার শ্রীলঙ্কা জয় ইনিংস ও ১০ রানে। প্রথম ম্যাচেও ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিকরা। বড় দৈর্ঘ্েযর ক্রিকেটে ৩১১ ম্যাচে এসে জয়ের সেঞ্চুরি করল লঙ্কানরা। তারা হেরেছে ১১৯ ম্যাচ, ড্র ৯২টি। আয়ারল্যান্ডের ৪৯২ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেটে ৭০৪ রান করে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে।

    দ্বিতীয়ভাগে খেলতে নেমে স্রফে ২০২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। টেস্টে এক ইনিংসে ৪৫০ রানের বেশি করেও চতুর্থ দল হিসেবে ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ হারল আয়ারল্যান্ড। অন্য তিন দল- ইংল্যান্ড, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া প্রবাথ জয়াসুরিয়া দ্বিতীয়ভাগে নেন আরও দুটি। গত বছর এই সংস্করণে পা রাখা বাঁহাতি স্পিনার ৭ টেস্টেই নিলেন ৫০ উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে স্পিনারদের মধ্যে যা দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। ১৯৫১ সালে ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে ৫০ উইকেট পূরণ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আলফ ভ্যালেন্টাইন। লঙ্কানদের এই জয়ে অবদান কম নয় রমেশ মেন্ডিসের। এই অফ স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রান দিয়ে ধরেন ৫ শিকার। এনিয়ে তৃতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি। ২ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন শুরু করে আয়ারল্যান্ড। সুযোগ ছিল তাদের ম্যাচটি ড্র করার। কিন্তু টেক্টর ছাড়া সেভাবে লড়াই করতে পারলেন না কেউই। চারে নেমে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৮৫ রান করেন তিনি। দিনের তৃতীয় ওভারে ধাক্কা খায় আয়ারল্যান্ড। আসিথা ফার্নান্দোর বাউন্সার হেলমেটের গ্রিলে লাগলে মাঠ ছেড়ে যান অ্যান্ডি বালবার্নি। পরের ওভারে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান পল স্টার্লিংকে ফিরিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন জয়াসুরিয়া। কিছুক্ষণ পর আসিথার শর্ট বল গায়ে লেগে বোল্ড হয়ে যান লর্কান টাকার। রমেশকে সুইপ করে ক্যাচ তুলে দেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কার্টিস ক্যাম্পার। ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরতে মাঠে ফেরেন বালবার্নি। টেক্টরকে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন তিনি। তাদের দুই দফার জুটিতে রান আসে মোট ৬২। ৫ চারে ৪৬ রান করা বালবার্নিকে ফিরিয়ে এই জুটির প্রতিরোধ ভাঙেন রমেশ। পরপর দুই ওভারে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও গ্রাহাম হিউমকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন রমেশ। ম্যাথু হামফ্রেজকে নিয়ে ইনিংস হার এড়ানোর লড়াই চালান এক প্রান্ত আগলে রাখা টেক্টর। পরপর দুই বলে তার ও বেন হোয়াইটের স্টাম্প ভেঙে দলকে জয়ের উল্লাসে ভাসান আসিথা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৯২

    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৭০৪/৩ ডিক্লে.

    আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭৭.৩ ওভারে ২০২ (আগের দিন ৫৪/২) (বালবার্নি ৪৬, টেক্টর ৮৫*, স্টার্লিং ১, টাকার ১৩, ক্যাম্পার ১২, ম্যাকব্রাইন ১০, হিউম ০, হ্যামফ্রেজ ৪*, হোয়াইট ০; বিশ্ব ৬-১-১৫-০, জয়াসুরিয়া ৩২-৯-৮৮-২, রমেশ ২৭-৬-৬৪-৫, আসিথা ১১.৩-২-৩০-৩, ধনাঞ্জয়া ১-০-৩-০)

    ফল: শ্রীলঙ্কা ইনিংস ও ১০ রানে জয়ী

    সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে জয়ী শ্রীলঙ্কা

    ম্যান অব দা ম্যাচ: প্রবাথ জয়াসুরিয়া

    ম্যান অব দা সিরিজ: কুসাল মেন্ডিস

  • শাহিন আফ্রিদির সমালোচনায় শহিদ আফ্রিদি

    শাহিন আফ্রিদির সমালোচনায় শহিদ আফ্রিদি

    খেলাধুলা ডেস্ক : সম্পর্কে তারা শ্বশুর-জামাই। তবে ব্যাপারটি যখন ক্রিকেট বিশ্লেষণের, পারিবারিক পরিচয় তখন আড়ালেই রাখতে হয়। শহিদ আফ্রিদি দেখালেন তেমনটিই। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সাবেক এই অধিনায়ক বললেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়েই খেই হারিয়েছেন পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র শাহিন শাহ আফ্রিদি। গত সোমবার এই ম্যাচে মার্ক চাপম্যানের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান হেরে যায় ৬ উইকেটে। একপর্যায়ে যদিও দারুণ অবস্থানে ছিল বাবর আজমের দল।

    ১৯৩ রানের পুঁজির পর বোলিংয়ে নেমে শাহিন আফ্রিদি প্রথম ওভারেই পাকিস্তানকে এনে দেন দুই উইকেট। শাহিনের দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য চারটি বাউন্ডারি মারেন কিউই ওপেনার চ্যাড বাওয়েস। তবে সেটিও বড় কিছু মনে হয়নি তখন। বাওয়েস আউট হয়ে যান ১৯ রান করেই। ১০ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৩। শেষ ১০ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ১২১ রানের। জিমি নিশামকে নিয়ে চাপম্যান অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে সেখান থেকেই নিউ জিল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন। এই জুটির সময়ই শাহিন দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, বললেন শহিদ আফ্রিদি। “ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে লাইন ও লেংথে ধারাবাহিক থাকা জরুরি। শাহিন শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। কিন্তু যখন দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়, সে তখন ভুল জায়গায় বল রেখেছে, অনেকটা এলোমেলো বল করেছে।”

    চাপম্যান ও নিশামের জুটি যখন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, জুটি ভাঙতে তখন ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় শাহিনকে। কিন্তু তার বোলিংয়ে ধার ছিল না। চাপম্যানের একটি ছক্কাসহ ওভার থেকে আসে ১২ রান। পরে ৩ ওভারে যখন প্রয়োজন ২৮ রান, তখনও শেষ ভরসা হিসেবে আবার শাহিনের হাতে বল তুলে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এবার শাহিনের ওভারে তিন বাউন্ডারিতে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত করে দেন চাপম্যান। শুধু শাহিন নয়, শহিদ কাঠগড়ায় তুললেন শাদাব খানকেও। দুই বাঁহাতি চাপম্যান ও নিশামের সামনে এ দিন মোটেও সুবিধা করতে পারেননি এই লেগ স্পিনার। ২ ওভার বোলিংয়ে তিনি রান দেন ২৯। শহিদ আফ্রিদির মতে, ব্যাটিংয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে বোলিংকে অবহেলা করছেন শাদাব। “মাঝের ওভারগুলোতে শাদাব সবসময়ই দারুণ পারফর্মার। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সে ভুগেছেও সবসময়। ওর উচিত বোলিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়া, কারণ এটিই তার মূল শক্তির জায়গা। ব্যাটিংটাকে তার আড়ালেই রাখা উচিত। দিন শেষে পারফরম্যান্সটাই মুখ্য এবং স্কোয়াডে জায়গা ধরে রাখতে হলে তার বোলিংয়ে উন্নতি করা দরকার।”