?> সত্যের সন্ধানে দৈনিক তালাশ ডট কম – Page 455 – dailytalas.com

Blog

  • ভাইরাল ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন সানী

    ভাইরাল ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন সানী

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যায় তাকে। নিজের, স্ত্রী মৌসুমীসহ পরিবারের খোঁজখবরও সিনেপ্রেমীদের জানান ফেসবুকের মাধ্যমে। ধর্মীয় পোস্টের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত দেন ‘চাঁদের আলো’র নায়ক। এবারও তাই করলেন। তবে নিজের ফেসবুকে না।

    একটি অনলাইন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বললেন ভাইরাল ইস্যু নিয়ে। সানীর মন্তব্য, সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ ভাইরাল হতে চায় না। যারা থার্ড ক্লাস তারাই ভাইরাল হতে চায়। সিনেপ্রেমীদের অনুরোধ জানাতে গিয়ে এ অভিনেতা বলেন, ‘এখন কথায় কথায় ভাইরাল। ভাইরাল শব্দটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ- আপনারা আমাদের সঙ্গে একই ধরনের ভাইরাল হতে চান, এমন হতে চান, এগুলো বলবেন না। এগুলো বলবেন বস্তিতে গিয়ে!’ ওমর সানী বলেন, ‘কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ ভাইরাল হতে চায় না। শিক্ষিত মানুষ, পরিবেশের মানুষ, সভ্যসমাজের মানুষ, ভালো পরিবারের ছেলেমেয়ে ভাইরাল হতে চায় না। যারা একটু থার্ড ক্লাস, পরিবার নেই, পরিজন নেই, তারাই ভাইরাল হতে চায়।’ নব্বই দশকের সুপারস্টার ওমর সানী। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম চাঁদের আলো, প্রেম প্রতিশোধ, মহৎ, আখেরি হামলা, দোলা, আত্ম অহংকার, কুলি।  খলনায়ক হিসেবেও ওমর সানী সফলতা পেয়েছেন। ২০০৩ সালে শাকিব খান অভিনীত ওরা দালাল সিনেমায় প্রথমবারের মতো খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি। তবে আজকাল অভিনয়ে তেমন দেখা যায় না তাকে। ব্যস্ত থাকেন নিজের ব্যবসা নিয়ে।

  • প্রচারে আসছে চাইনিজ সিরিজ ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’

    প্রচারে আসছে চাইনিজ সিরিজ ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’

    বিনোদন ডেস্ক : প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চাইনিজ সিরিজ ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে যায় এর গল্প। সাথে যুক্ত হয় উত্তর ইয়ানের, ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম। এমন জটিল গল্পের জনপ্রিয় সিরিজটি বাংলায় ডাবিং করে পহেলা মে থেকে প্রচার শুরু করতে যাচ্ছে দীপ্ত টিভি। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন চ্যানেলটির মুখপাত্র জাকিয়া সুলতানা। জানান, ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’ ১ মে থেকে প্রতিদিন বিকাল ৫টা ৫০মিনিট ও রাত ৯টায় প্রচার করা হবে।

    ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল। চরিত্র ও কণ্ঠাভিনেতার তালিকাটি এমন- চু চিয়াও (নাদিয়া ইকবাল), ইউয়েন ইউয়ে (মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু), ইউয়েন চুন (নাহিদ আখতার ইমু), ইয়ান শুন (মশিউর রহমান দিপু), ইউয়েন হুয়ায় (শফিকুল ইসলাম), শাউ ইউ (জয়শ্রী মজুমদার লতা), কনসর্ট উই (মেরিনা মিতু), ঝং ইউ (রুবাইয়া মতিন গীতি), ইউয়েন সং (খায়রুল আলম হিমু), ঝু শুন (সজীব রায়), ঝাউ শিফেং (অরুপ কুন্ডু), উই শুয়ে (সাইফুল ইসলাম শিহাব) ও অন্যান্য। ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’ ধারাবাহিকটির ডাবিং প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু এবং প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন।

  • ভারতে কালবৈশাখীর তান্ডব, নিহত ১৮

    ভারতে কালবৈশাখীর তান্ডব, নিহত ১৮

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  কালবৈশাখী ঝড়ে নিমেষেই গরম আর ক্লান্তি দূর করলেও কেড়ে নিয়েছে ১৮ প্রাণ। ভারতের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বজ্রপাতে একের পর এক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই ঘণ্টা ধরে তান্ডব চালোনোর পর প্রকৃতি  যখন শান্ত হলো, তখন রাজ্যের ছয় জেলায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে পরে দক্ষিণবঙ্গ সাময়িক আরাম পেয়েছিল ঝড়-বৃষ্টিতে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়,  বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়, তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হাওড়া জেলায়।

    এ ছাড়া বর্ধমান জেলায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস দিতে গিয়ে বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশকুমার দাস জানারন, ‘বৃহস্পতিবার কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়। ওই দিন দুপুর থেকেই রাজ্যের দক্ষিণ ভাগের বিস্তীর্ণ এলাকায় মেঘ জমতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি সঙ্গে প্রচণ্ড বজ্রপাত।

    ঝড়ের দাপটে রাজ্যে বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। কালবৈশাখীতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে। এরপরেই খবর আসে গাছ উপড়ে এবং বজ্রপাতে বিভিন্ন জায়গায় ১৮ জনের প্রাণ গেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সূত্র : এই সময়

  • শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

    শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক : শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইতে বলেছেন। যখন মানুষ কোরআন তেলাওয়াতের মতো ইবাদত করবে তখনও। শয়তানের অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকা ছোট-খাটো কোনো বিষয় নয়। তাহলে সারাদিন শয়তান থেকে নিরাপদ থাকতে কী দোয়া পড়বেন?

    ছোট্ট ও ছন্দময় একটি দোয়া। সারাদিন শয়তানের অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকতে এটি খুবই কার্যকরী। হাদিসের বর্ণনায় দোয়াটি হলো-
    أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

    উচ্চারণ : ‘আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াঝহিল কারিম ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।’

    অর্থ : ‘আমি মহান আল্লাহর কাছে; তাঁর মহানুভব চেহারার কাছে; তাঁর অনাদি-অনন্ত কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।’
    দোয়াটি হাদিসের বর্ণনায় এভাবে এসেছে-

    হজরত হায়াওয়াহ ইবনু শুরায়িহ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি হজরত উক্ববাহ ইবনে মুসলিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলি, আমি জানতে পারলাম যে, আপনার কাছে হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাধ্যমে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এ হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে প্রবেশের সময় বলতেন-

    أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

    ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, অতীব মর্যাদা ও চিরন্তন পরাক্রমশালীর অধিকারী মহান আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে।
    হজরত উক্ববাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু (প্রশ্ন রেখে) বললেন, এত টুকুই?
    আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’
    (এবার) হজরত উক্ববাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘কেউ এ দোয়া পড়লে শয়তান বলতে থাকে যে, এ লোকটি আমার (অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা) থেকে সারা দিনের জন্য বেঁচে গেল।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, দারেমি, মুসনাদে আহমাদ, বুখারি ও মসলিম)
    মনে রাখা জরুরি

    এ দোয়াটি শুধু মসজিদে প্রবেশের জন্য পড়ার দোয়াই নয় বরং সারাদিন শয়তানের আক্রমণ (অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা) থেকে নিরাপদ থাকতে প্রতিদিন পড়া জরুরি। যদিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিতে প্রবেশ করতেই এ দোয়াটি পড়তেন। আর শয়তান সারা দিনের জন্য এ দোয়া পাঠকারী থেকে দূরে সরে যায়।

    সুতরাং মুমিন মুসলমান প্রতিদিন যতবার মসজিদে প্রবেশ করবে ততবারই যদি এ দোয়াটি পড়া হয় তবে এ কথা সুনশ্চিত যে, শয়তান মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবে না। বরং সে সারাদিনের জন্য শয়তানের অনিষ্টতা ও প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।
    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবির শেখানো দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন। সারাদিন শয়তানের অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • বজ্রপাত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ সতর্কবাণী

    বজ্রপাত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ সতর্কবাণী

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক : হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ইহুদিরা একবার নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন, হে আবুল কাসিম! (বৃষ্টির সময় আকাশে যে আওয়াজ হয় সেটা কীসের আওয়াজ?) আমাদেরকে রাদ (মেঘের গর্জনের আওয়াজ) প্রসঙ্গে বলুন, এটা কি?

    তিনি বললেন, ‘মেঘমালাকে হাকিয়ে নেওয়ার জন্য ফেরেশতাদের একজন নিয়োজিত আছে। তার সঙ্গে রয়েছে আগুনের চাবুক। এর সাহায্যে সে মেঘমালাকে সেই দিকে পরিচালনা করেন, যেদিকে আল্লাহ তাআলা চান।
    তারা বললো, আমরা যে আওয়াজ শুনতে পাই তার তাৎপর্য কি?

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা হচ্ছে ফেরেশতার হাকডাক। এভাবে হাকডাক দিয়ে সে মেঘমালাকে তার নির্দেশিত স্থানে নিয়ে যায়।’ তারা বললো, আপনি সত্য বলেছেন।’ (তিরমিজি)

    বজ্রপাতের শক্তিশালী আলোর ঝলকানি ও প্রচ- গর্জন মহান আল্লাহ তাআলার মহাশক্তির নিদর্শনের বহিঃপ্রকাশ। শক্তিশালী এই আলোর ঝলকানি ও বজ্রপাতের গর্জন মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ সতর্কবাণী। আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের সাবধান করার জন্যই বজ্রপাত বর্ষণ করে থাকেন। তিনি চাইলে এ বজ্রপাতের মাধ্যমে তাঁর অবাধ্য সীমালংঘনকারী বান্দাদের শাস্তিও দিতে পারেন।
    যদিও আল্লাহ তাআলা সব সময় তাঁর বান্দাদের প্রতি শাস্তিদানের মতো কঠোর আচরণ করেন না। কেননা আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রাহমান, রাহিম; গাফুর ও গাফ্ফার।

    বজ্রপাত সম্পর্কে কোরআনের ঘোষণা
    মহান আল্লাহ তাআলা বজ্রপাত প্রসঙ্গে কোরআনু কারিমে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে পাক নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশাল আওয়াজ সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
    وَ یُسَبِّحُ الرَّعۡدُ بِحَمۡدِهٖ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ مِنۡ خِیۡفَتِهٖ ۚ وَ یُرۡسِلُ الصَّوَاعِقَ فَیُصِیۡبُ بِهَا مَنۡ یَّشَآءُ وَ هُمۡ یُجَادِلُوۡنَ فِی اللّٰهِ ۚ وَ هُوَ شَدِیۡدُ الۡمِحَالِ
    ‘মেঘের গর্জন তাঁর প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং ফেরেশতারা তাঁর ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে তাসবিহ পাঠ করে; তিনি বজ্রপাত করেন এবং (অনেক সময়) তাকে যার ওপর চান, ঠিক সে যখন আল্লাহ সম্পর্কে বিত-ায় লিপ্ত তখনই নিক্ষেপ করেন। অথচ আল্লাহ তাআলার কৌশল ও শক্তি বড়ই জবরদস্ত।’ (সুরা রা’দ : আয়াত ১৩)

    ’রাদ’ বা বজ্রপাত আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার তাসবিহ পাঠ করে এবং ফেরেশতারা তার ভয়ে তাসবিহ পাঠ করে। হজরত মুজাহিদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, রাদ বলে যদি মেঘের গর্জন বুঝা হয়, তবে এ তাসবিহ পাঠ করার অর্থ হবে আল্লাহ তাতে জীবন সৃষ্টি করেন।’ (কুরতুবি)
    অথবা এটা ঐ তাসবিহ যা কোরআনুল কারিমের অন্য এক আয়াতে উল্লিখিত রয়েছে যে, ’সাত আকাশ, পৃথিবী এবং ওদের অন্তর্বর্তী সব কিছু তারই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না; কিন্তু তাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৪৪/ইবন কাছির)

    কোনো কোনো হাদিসে আছে যে, বৃষ্টি বর্ষণের কাজে নিযুক্ত ফেরেশতার নাম রাদ।’ (তিরমিজি)
    হাদিসে পাকে আরও এসেছে, এক প্রভাবশালী লোকের কাছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে লোক পাঠালে সে বললো, ‘কে আল্লাহর রাসুল? আল্লাহ কি? সোনার না রূপার? নাকি পিতলের?

    এভাবে তিনবার সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পাঠানো লোককে বলে পাঠাল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তার উপর আকাশ থেকে বজ্রপাত করালেন। ফলে তার মাথা গুড়িয়ে যায়। তখন এ আয়াত নাজিল হয়।’ (ইবনে আবি আসেম : আস সুন্নাহ)
    বজ্রপাত আল্লাহর অপার শক্তির নিদর্শন

    পথহারা মানুষের জন্য মেঘের গর্জন ও বিদ্যুৎচমক শিক্ষণীয় বিষয়। কারণ মেঘের গর্জন এ কথা প্রকাশ করে যে, আল্লাহ তাআলা যে বায়ু পরিচালিত করেন, বাষ্প ও মেঘমালাকে একত্র করেন। এ বিদ্যুৎকে বৃষ্টির মাধ্যম বা উপলক্ষ বানান এবং পৃথিবীর সৃষ্টিকূলের জন্য তিনি পানির ব্যবস্থা করেন।
    তিনি যাবতীয় ভুল-ত্রুটি-অভাব থেকে মুক্ত। তিনি জ্ঞান ও শক্তির দিক থেকে পূর্ণতার অধিকারী। পশুর মতো নির্বোধ শ্রবণ শক্তির অধিকারীরা তো এ মেঘের মধ্যে শুধুই গর্জনই শুনতে পায় কিন্তু বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন সজাগ শ্রবণ শক্তির অধিকারী ব্যক্তিরা মেঘের গর্জনের মধ্যে আল্লাহর অসীম ক্ষমতার নির্দশন দেখতে পান।

    আল্লাহর শক্তিমত্তা ও অপার কৌশল দেখে মেঘমালাকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা ফেরেশতাসহ অন্যান্য সব ফেরেশতারাও তাঁর ভয়ে তাসবিহ পাঠ করে।
    আরবের মুশরিকরা আল্লাহর উপাসনা বাদ দিয়ে ফেরেশতাদেরকেও দেবতা হিসেবে গণ্য করতো। মানুষের আল্লাহদ্রোহীতা ও জুলুম-অত্যাচার, জিনা-ব্যাভিচারসহ যাবতীয় মানবতা বিবর্জিত অন্যায় কাজই এ বজ্রপাতের মূল কারণ।
    আল্লাহর দিকে ফিরে আসার অনুপ্রেরণা

    এ সব বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমক থেকে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই মানুষকে দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় পরিত্যাগ করতে হবে। নিজেদের গুনাহ থেকে খাঁটি তাওবা করতে হবে। যারা খাঁটি তাওবার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরে আসবে তারাই বজ্রপাত থেকে মুক্ত থাকবে। হাদিসে পাকে এসেছে-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, আমার বান্দারা যাদ আমার বিধান যথাযথ মেনে চলত, তবে আমি তাদেরকে রাতের বেলায় বৃষ্টি দিতাম আর সকাল বেলায় সূর্য (আলো) দিতাম এবং কখনও তাদেরকে বজ্রপাতের আওয়াজ শুনাতাম না।’ (মুসনাদে আহমদ)

    কোরআন এবং সুন্নাহর বর্ণনায় এ কথা সুস্পষ্ট যে, বজ্রপাত পরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক মহাদুর্যোগ। আল্লাহ প্রদত্ত এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে থাকতে হলে কোরআন-সুন্নার দিকনির্দেশনা পালনের বিকল্প নেই।
    বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়

    সম্প্রতি সময়ে পত্র-পত্রিকায় তাকালেই দেখা যায়, কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটেছে। আবার একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। যা মানুষের জন্য তাদের অবাধ্যতার সতর্কবাণী। কোরআনের বিধান পালন এবং নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো তাসবিহ ও দোয়া পাঠে বজ্রপাতের দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

    বজ্রপাতসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষায় নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদের বিভিন্ন দোয়া ও তাসবিহ শিখিয়েছেন। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা এভাবে এসেছে-

    ১. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বজ্রের শব্দ শুনতেন তখন বলতেন-
    اَللَّهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَ لَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَ عَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
    উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাদাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আ’ফিনা ক্ববলা জালিকা।’ (তিরমিজি)
    অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেল না আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদের ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে নাও।’
    অন্য বর্ণনায় এসেছে-

    হজরত ইবনে আবি জাকারিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি বজ্রের আওয়াজ
    শুনে এ দোয়া পড়বে-
    سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ
    উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।’
    সে বজ্রপাতের আঘাত থেকে মুক্ত থাকবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)
    অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে-
    হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথাবার্তা ছেড়ে দিতেন এবং এ আয়াত পাঠ করতেন-
    سُبْحَانَ الَّذِىْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ

    উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রাদু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি।’
    অর্থ : ‘পবিত্র সেই মহান সত্তা প্রশংসা যিনি পানিভরা মেঘ উঠান। মেঘের গর্জন তার প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং তার ফেরেশতারাও তাঁর ভয়ে কম্পিত হয়ে তাঁর তাসবিহ পাঠ করে।’ (মুয়াত্তা মালেক, মিশকাত)
    পরিশেষে…

    মেঘের গর্জন তথা বজ্রপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভয়াবহ শাস্তি থেকে মুক্ত থাকতে আল্লাহ তাআলার বিধান মেনে চলা জরুরি। পাশাপাশি বজ্রপাতের ভয়াবহতা থেকে বেঁচে থাকতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া ও তাসবিহগুলো পড়া উচিত।
    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মেঘের গর্জন তথা বজ্রপাতের সময় আল্লাহর প্রশংসা করা, সব ধরণের অন্যায় ও অবাধ্য আচরণ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং তার বিধান পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • নারায়ণগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

    নারায়ণগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

    অনলাইন ডেস্ক :নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন শত শত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সাত দিন ধরে একটি বেডও খালি নেই। প্রতিটি বেডেই গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা চলছে। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। মাসজুড়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে নারায়ণগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তে থাকে। তবে ঈদুল ফিতরের আগের দিন থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ১২৫ থেকে ১৫০ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমনকি জরুরি বিভাগেও রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই হচ্ছে না। এ অবস্থায় রোগীর চাপ সামলাতে নার্সদের ঈদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।

    হাসপাতালে ভর্তি হওয়া হামিদুর রহমান বলেন, ‘ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে একটু বাথরুম হচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে অনবরত বাথরুম ও সঙ্গে বমি হচ্ছিল। তাই স্বজনদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’

    জায়গা না হওয়ায় চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আর গুরুতর রোগীদের ভর্তি করে পাঠানো হচ্ছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। মাত্র ১০ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা।

    একজন নার্স জানান, ঈদের পর থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যে পরিমাণ বেড রয়েছে, তার থেকে চার-পাঁচ গুণ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

    নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও রমজান শেষে খাবারের পরিবর্তন হওয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়েছে।

    নগরীতে গত ১ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আড়াই হাজারেরও বেশি রোগী সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
     

    সূত্র: সময় নিউজ টিভি

  • জুমার দিনে মুসল্লির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আমল

    জুমার দিনে মুসল্লির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ আমল

    ধর্ম  ও জীবন ডেস্ক : মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইসলামের অন্যতম একটি ইবাদত। জুমার দিন অনান্য ইবাদাতের জন্যও রয়েছে অতিরিক্ত সওয়াবের হুকুম। তাই এই দিনটিকে সঠিকভাবে পালন করা জরুরি। প্রত্যেক মুসল্লির জন্য এদিন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। আমলগুলো কী?

    ১. জুমার জন্য পরিচ্ছন্ন হওয়া
    জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোসল করা জরুরি। অনেকে এই দিনে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে, কোনো রকম জুমার ফরজ দুই রাকাত আদায় করে চলে আসেন। অথচ হাদিসে এসেছে-
    হজরত আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব (জরুরি)। আর মিসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। ’ (বুখারি, মুসলিম ৮৪৬)
    তাই সবার উচিত জুমার দিন গোসল করা এবং মিসওয়াক করা। যদি সামর্থ্য থাকে, সুগন্ধি ব্যবহার করা। এছাড়াও ভাল ও পরিচ্ছন্ন জামা পড়ে মসজিদে যাওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও এই দিন ভালো ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতেন।

    ২. দ্রুত মসজিদে যাওয়া
    জুমার নামাজ কেবল দুই রাকাত নামাজ আদায়ই যথেষ্ট নয়, বরং জুমার খুতবা শোনাও জরুরি। তাই জুমার খুতবা শোনা এবং নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে দ্রুত যাওয়া আবশ্যক। এতে মিলবে কোরবানির সওয়াব। হাদিসে পাকে এসেছে-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (সহবাস পরবর্তীকালে) গোসলের মতো গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে, সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে, সে যেন একটি গাভী কোরবানি করলো। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে, সে যেন একটি শিং-বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করলো। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করলো সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করলো। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করলো, সে যেন একটি ডিম কোরবানি করলো। (বুখারি ৮৮১)
    তাই জুমার নামাজের দিন পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম। তাহলে সময়মতো ও সঠিকভাবে দ্রুত নামাজ আদায়ে মসজিদে যাওয়া সম্ভব।

    ৩. জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ না করা
    জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ করা নিষিদ্ধ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদের দিকে যাওয়া জরুরি। জুমার প্রথম আযান শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায় কিংবা অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া অথবা নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া উচিত। হাদিসে পাকে এসেছে-
    হজরত ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাইদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরে জুমার জন্য যেতেন, তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাদের বলা হলো, যদি তোমরা গোসল করে নিতে ভালো হতো…। (বুখারি ৯০৩, মুসলিম ৮৪৭)

    ৪. মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা
    খুতবা শোনা জুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ঠিকভাবে খুতবা শোনাও জরুরি। তবে যদি মুসল্লি বেশি হওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে খুতবার আওয়াজ না শোনা যায়, তবে নিরব থাকা নিয়ম। হাদিসে এসেছে-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওযু করে জুমার নামাজে এলো, নীরবে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনলো, তাহলে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং আরও অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) কঙ্কর স্পর্শ করলো, সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করলো। (মুসলিম ১৮৭৩)
    প্রসঙ্গত আরবি ও বাংলায় দেওয়া উভয় খুতবাই মনোযোগ দিয়ে শোনা জরুরি।

    ৫. খুতবার সময় কথা না বলে চুপ থাকা
    খুতবা শোনা ওয়াজিব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
    হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লিকে চুপ থাকো বলবে, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।’ (বুখারি  ৯৩৪, মুসলিম ৮৫১)

    তাই জুমার খুতবা চলাকালিন পাশে কেউ কথা বললেও তাকে থামাতে চুপ থাকার কথা বলাও নিষেধ। খুতবার সময় কেউ কথা বললে তাকে চুপ থাকতে বলাও উচিত নয়। অর্থাৎ খুতবার সময় মুখ পুরোপুরি বন্ধ রাখা চাই।
    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লিখিত পাঁচটি আমল যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • ম্যানইউকে জিততে দিলো না টটেনহ্যাম

    ম্যানইউকে জিততে দিলো না টটেনহ্যাম

    খেলাধুলা ডেস্ক : আগের ম্যাচে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের কাছে ১৯ মিনিটে ৫ গোল হজম করেছিল টটেনহ্যাম হটস্পার। চার দিন পর সেই দলই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ালো। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যানইউ তাতে পয়েন্ট হারালো। বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ২-২ গোলে স্বাগতিকদের সঙ্গে ড্র করেছে ইউনাইটেড। ২ পয়েন্ট হারিয়ে নিউক্যাসেলকে (৬২) হারিয়ে সেরা তিনে ওঠা হলো না তাদের। ৩১ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে চারে এরিক টেন হ্যাগের দল। দুই ম্যাচ বেশি খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাস্টন ভিলাকে টপকে পাঁচে টটেনহ্যাম। জ্যাডন সানচো ও মার্কাস র‌্যাশফোর্ডের গোলে প্রথমার্ধের নিয়ন্ত্রণ ছিল ম্যানইউর হাতে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেদ্রো পোরোর জাদুতে ব্যবধান কমায় স্পাররা। সন হিউং মিনের শেষ দিকের গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে তারা। সাত মিনিটে র‌্যাশফোর্ডের পাস থেকে বল নিয়ে নিচু ড্রাইভে দূরের পোস্টে ফ্রেসার ফরস্টারকে পরাস্ত করেন সানচো। গোল পেতে মরিয়া ছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু ইভান পেরিসিচকে ঠেকান ডেভিড ডি গিয়া। তারপর রিচার্লিসনের শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে যায়, সনকে ব্লক করে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার। বিরতির ঠিক আগে ব্রুনো ফার্নান্দেসের অ্যাসিস্টে অতিথিদের ২-০ গোলে এগিয়ে দেন র‌্যাশফোর্ড।

    ড্রেসিংরুম থেকে এসে টটেনহ্যামের গর্জন। ৫৫ মিনিটে ডিওগো ডালোটের ক্লিয়ারেন্সে বল পেয়ে ডান দিক দিয়ে কোনাকুনি শটে ডি গিয়াকে পরাস্ত করেন পোরো। কয়েক সেকেন্ড পর টটেনহ্যাম আবার ২ গোলে পিছিয়ে পড়তে পারতো। কিন্তু ফার্নান্দেস হতবাক করে ক্রসবারে আঘাত করেন। তার সামনে কেবল ফরস্টার ছিলেন! এরপর এরিক ডায়ারের হেড গোলবারের পাশ দিয়ে গিয়ে হতাশ করে টটেনহ্যামকে। অবশেষে সমতা ফেরানো গোল পায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেন ডান দিক দিয়ে নিচু ক্রস দেন দূরের পোস্টে অপেক্ষমাণ সনকে। কোরিয়ান তারকা হতাশ করেননি। স্বাগতিক দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান।

  • মেটার আয় বেড়েছে তিন শতাংশ

    মেটার আয় বেড়েছে তিন শতাংশ

    অনলাইন ডেস্ক : মন্দার পর আয়ের দিক থেকে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছে ফেসবুক। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার আয় বেড়েছে তিন শতাংশ। খবর বিবিসির।

    কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মাসে গড়ে তিন বিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন এর অন্তত একটি অ্যাপ ব্যবহার করেছে, যা গত বছরের মার্চের চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি।
    তাছাড়া কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।

    সম্প্রতি ব্যয় কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কর্মী ছাঁটাই।
    মূলত টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, অ্যাপলের গোপনীয়তায় পরিবর্তন ও বিজ্ঞাপন কমে যাওয়ার ফলে গত বছর কোম্পানিটির আয় কমে যায়।

    মেটা জানিয়েছে, মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে তাদের আয় হয়েছে ২৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে লাভ হয়েছে ৫ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার।

    এদিকে বাংলাদেশে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন সীমিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে ফেসবুকের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এইচটিটিপুলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে তারা সেবা দিতে পারছে না। কারণ মেটা প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের জন্য তাদের বিজ্ঞাপনী স্পেস সীমিত করেছে।
    গ্রাহকদের পাঠানো এক চিঠিতে এইচটিটিপুল জানায়, বিশ্ববাজারে ডলার সংকট এবং রেমিট্যান্স সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে তারা আপাতত বিজ্ঞাপন নেওয়া বন্ধ রেখেছে।

  • ফের ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    ফের ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনজুড়ে আবারও বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার সকালে কয়েকটি অঞ্চল ও শহরে বিমান হামলার সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলা প্রতিহতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে। রাজধানী কিয়েভের একজন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে ক্ষুদে বার্তায় জানান, সকালে বিস্ফোরণের শব্দে ঘুমে ভেঙে গেছে। অনেকটা ভূমিকম্পের মতো মনে হচ্ছিল। শুক্রবার সকালে মধ্য ইউক্রেনের ডিনিপ্রো, ক্রেমেনচুক এবং পোলতাভার পাশাপাশি দক্ষিণে মাইকোলাইভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

    এমনই তথ্য দিয়েছে ইন্টারফেক্স ও ইউক্রেনের নিউজ এজেন্সি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে ইউক্রেনের মধ্য চেরকাসির কাছে একটি আবাসিক ভবনে আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে। সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে জরুরি বিভাগের কর্মীরা। চেরকাসির গভর্নর ইহর তাবুরেতস টেলিগ্রামে জানান, জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমাদের বাহিনী সতর্ক অবস্থানে। ডিনিপ্রো শহরের মেয়র বরিস বলেন, রাতের হামলায় একজন নারী ও তিন বছরের এক শিশু নিহত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির মধ্যেই এমন হামলার ঘটনা ঘটলো।

    এ ঘটনায় মস্কোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরুর আগে ন্যাটো মিত্র ও অংশীদারদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র পেয়েছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে ১ হাজার ৫৫০টি আর্র্মড ভ্যাহিক্যাল এবং ২৩০টি ট্যাংক পেয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা