?> সত্যের সন্ধানে দৈনিক তালাশ ডট কম – Page 456 – dailytalas.com

Blog

  • শাহিন আফ্রিদির সমালোচনায় শহিদ আফ্রিদি

    শাহিন আফ্রিদির সমালোচনায় শহিদ আফ্রিদি

    খেলাধুলা ডেস্ক : সম্পর্কে তারা শ্বশুর-জামাই। তবে ব্যাপারটি যখন ক্রিকেট বিশ্লেষণের, পারিবারিক পরিচয় তখন আড়ালেই রাখতে হয়। শহিদ আফ্রিদি দেখালেন তেমনটিই। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সাবেক এই অধিনায়ক বললেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়েই খেই হারিয়েছেন পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র শাহিন শাহ আফ্রিদি। গত সোমবার এই ম্যাচে মার্ক চাপম্যানের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান হেরে যায় ৬ উইকেটে। একপর্যায়ে যদিও দারুণ অবস্থানে ছিল বাবর আজমের দল।

    ১৯৩ রানের পুঁজির পর বোলিংয়ে নেমে শাহিন আফ্রিদি প্রথম ওভারেই পাকিস্তানকে এনে দেন দুই উইকেট। শাহিনের দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য চারটি বাউন্ডারি মারেন কিউই ওপেনার চ্যাড বাওয়েস। তবে সেটিও বড় কিছু মনে হয়নি তখন। বাওয়েস আউট হয়ে যান ১৯ রান করেই। ১০ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৩। শেষ ১০ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ১২১ রানের। জিমি নিশামকে নিয়ে চাপম্যান অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে সেখান থেকেই নিউ জিল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন। এই জুটির সময়ই শাহিন দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, বললেন শহিদ আফ্রিদি। “ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে লাইন ও লেংথে ধারাবাহিক থাকা জরুরি। শাহিন শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। কিন্তু যখন দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়, সে তখন ভুল জায়গায় বল রেখেছে, অনেকটা এলোমেলো বল করেছে।”

    চাপম্যান ও নিশামের জুটি যখন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, জুটি ভাঙতে তখন ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় শাহিনকে। কিন্তু তার বোলিংয়ে ধার ছিল না। চাপম্যানের একটি ছক্কাসহ ওভার থেকে আসে ১২ রান। পরে ৩ ওভারে যখন প্রয়োজন ২৮ রান, তখনও শেষ ভরসা হিসেবে আবার শাহিনের হাতে বল তুলে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এবার শাহিনের ওভারে তিন বাউন্ডারিতে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত করে দেন চাপম্যান। শুধু শাহিন নয়, শহিদ কাঠগড়ায় তুললেন শাদাব খানকেও। দুই বাঁহাতি চাপম্যান ও নিশামের সামনে এ দিন মোটেও সুবিধা করতে পারেননি এই লেগ স্পিনার। ২ ওভার বোলিংয়ে তিনি রান দেন ২৯। শহিদ আফ্রিদির মতে, ব্যাটিংয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে বোলিংকে অবহেলা করছেন শাদাব। “মাঝের ওভারগুলোতে শাদাব সবসময়ই দারুণ পারফর্মার। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সে ভুগেছেও সবসময়। ওর উচিত বোলিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়া, কারণ এটিই তার মূল শক্তির জায়গা। ব্যাটিংটাকে তার আড়ালেই রাখা উচিত। দিন শেষে পারফরম্যান্সটাই মুখ্য এবং স্কোয়াডে জায়গা ধরে রাখতে হলে তার বোলিংয়ে উন্নতি করা দরকার।”

  • ফুলবাড়ীতে প্রাইভেট কারসহ ফেন্সিডিল জব্দ

    ফুলবাড়ীতে প্রাইভেট কারসহ ফেন্সিডিল জব্দ

    দিনাজপুর প্রতিনিধি :  দিনাজপুর র‌্যাব-১৩ সিপিসি-১ এর একটি আভিযানিক দল ফুলবাড়ী পৌর শহরের ব্যস্ততম বড় ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে একটি সাদা প্রাইভেট কার (চট্ট-মেট্রো-প-১১-০১৪৭) তল্লাশী চালিয়ে ৩৭৬ বোতল ফেন্সিডিল ও ফেন্সিগ্রিপ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রাইভেট কারের চালকসহ চারজন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে।

    গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার ছোট যমুনা নদীর বড় ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে ওয়ান ডায়াগস্টিক সেন্টারের সমানে থেকে প্রাইভেট কারসহ ফেন্সিডিল, ফেন্সিগ্রিপ জব্দসহ চারজন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়। আটককৃতদেরকে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    আটককৃত চার মাদককারী হলেন, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার ইটাই মনসাপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে প্রাইভেট কার চালক দেলোয়ার হোসেন (৩২), একই এলাকার মৃত মনছের আলীর ছেলে মাহবুল আলম (৪২), মৃত মহির প্রধানের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫) এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া হেলেঞ্চা গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে সোহেল রানা পলিন (৩৬)।

    দিনাজপুর র‌্যাব-১৩, সিপিসি-১ এর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রাইভেট কারসহ ৩৭৬ বোতল ফেন্সিডিল ও ফেন্সিগ্রিপ জব্দসহ চারজন মাদক কারবারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

    তিনি জানিয়েছেন, ধৃত মাদক কারবারীরা দীর্ঘদিন থেকে দেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফেন্সিডিল, ফেন্সিগ্রিপসহ বিভিন্ন ধরনের মদক সংগ্রহ করে তা প্রাইভেট কারযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। ধৃত দেলোয়ার হোসেন, মাহবুল আলম ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক কারবারের কথা স্বীকার করেছে।

    ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার আসামীদেরকে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • মে থেকে ক্যামেরার সামনে শাকিব

    মে থেকে ক্যামেরার সামনে শাকিব

    বিনোদন ডেস্ক : এবারের ঈদে শাকিব খান অভিনীত ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’। ছবিটি ব্যবসার দিক থেকে ঈদে এক নম্বরে রয়েছে। এর মধ্যে জানা গেল তার আগামী ঈদের ছবির নাম- ‘প্রিয়তমা’। পরিচালক হিমেল আশরাফ জানালেন শাকিব খান এ ছবির শুটিং করবেন ৮ মে থেকে।  হিমেল আশরাফ বলেন, এ ছবিতে তিনটি লুকে দেখা যাবে শাকিবকে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে নানা ধরণের সংকট থাকে। সেসব সংকটের গল্প বলবো আমরা।

    এ ছবিতে তো আরও ৬/৭ বছর আগে হওয়ার কথা ছিলো? হিমেল বলেন, নানা কারণেই ছবিটি আমরা এতদিন করতে পারেনি। তবে শাকিব খান ৮ মে থেকে শুটিং ঢুকলেও আমরা কিন্তু গেল ১৩ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছি। শাকিব খানের বিপরীতে এ ছবিতে কলকাতার সিরিয়ালের একজন জনপ্রিয় নায়িকার দেখা মিলবে। যার নাম ভিসা প্রসেসিং হওয়ার আগে উচ্চারণ করতে চান না হিমেল। ভোর ছয়টা থেকে টানা শুটিং চলবে রাত পর্যন্ত। যার কারণে ২৮মের মধ্যে তারা শুটিং শেষ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

    এরপর তো মাত্র এক মাস সময় পাওয়া যাবে। কীভাবে এত দ্রুত ছবি মুক্তি দিবেন? ‘আমাদের ছবিতে ওইরকম কোনো ভিএফক্স বা সিজির কাজ নেই। আর পোস্টের জন্য খুব বেশি আহামরি কাজ করতে হবে না। ফলে আমরা ছবি পুরোপুরি শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না। তাছাড়া ছবির ফাইট দৃশ্যগুলো আমরা আগেই শুটিং করে ফেলবো’, – বলেন হিমেল আশরাফ। ছবিতে চারটি গান থাকবে। দেশ বিদেশের ভালো শিল্পীরা গানগুলো করবেন বলে জানালেন পরিচালক। আরশাদ আদনানের প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করছে ভার্সেটাইল মিডিয়া।

  • রানের পাহাড় গড়ল আয়ারল্যান্ড

    রানের পাহাড় গড়ল আয়ারল্যান্ড

    যার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি, সেই লর্কান টাকার আউট হয়ে গেলেন দিনের চতুর্থ বলেই। তবে পল স্টার্লিং ও কার্টিস ক্যাম্পার উপহার দিলেন দুর্দান্ত শতক। আয়ারল্যান্ড গড়ল রানের পাহাড়। দিমুথ করুনারতেœ ও নিশান মাদুশকার ব্যাটে শ্রীলঙ্কাও পেয়ে গেল শক্ত ভিত। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ড থামে ৪৯২ রানে। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষের সময় শ্রীলঙ্কার রান বিনা উইকেটে ৮১। এখনও তারা পিছিয়ে ৪১১ রানে। নিজেদের ৬ টেস্টে এই প্রথম চারশ ছুঁতে পারল আইরিশরা। অভিষেক টেস্টের ৩৩৯ ছিল দলটির আগের সর্বোচ্চ। প্রথম ৫ টেস্টে তাদের সেঞ্চুরি ছিল দুটি, এবার এক ম্যাচেই হয়ে গেল দুটি। পায়ে ক্র্যাম্প করায় আগের দিন ৭৪ রানে মাঠ ছাড়া স্টার্লিং দ্বিতীয় দিনে ফিরে ১৮১ বলে করেন ১০৩ রান। চার টেস্টের ক্যারিয়ারে তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি। দিনের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম অবশ্য ক্যাম্পার। আগের তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৯। সেই তিনি এবার ২২৯ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ১১১ রানের অসাধারণ ইনিংস। স্বীকৃত ক্রিকেটে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৫ উইকেট নেন ১৭৪ রান দিয়ে। ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবার এই স্বাদ পেলেন বাঁহাতি স্পিনার। গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের ৩১৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ওভারে টাকারকে বোল্ড করে দেন বিশ্ব ফার্নান্দো। আগের দিনের ৭৮ রানের সঙ্গে এই ব্যাটসম্যান যোগ করতে পারেন ২। তার বিদায়ের পরই ফের উইকেটে যান স্টার্লিং। এ দিনও উইকেট ছিল যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়ক। ক্যাম্পারের সঙ্গে স্টার্লিং গড়েন ৬৪ রানের জুটি। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পরপরই অবশ্য আসিথা ফার্নান্দোর শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ক্যাম্পার এরপর ৮৯ রানের বড় জুটি গড়েন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে সঙ্গে নিয়ে। ৯৯ থেকে আসিথাকে চার মেরে কাক্সিক্ষত তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। ম্যাকব্রাইন ৫৯ বলে করেন ৩৫ রান। ক্যাম্পারসহ শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন জয়াসুরিয়া। জবাবে ১৮.১ ওভার ব্যাটিং করে আইরিশ বোলারদের তেমন কোনো সুযোগ দেননি করুনারতেœ ও মাদুশকা। অধিনায়ক করুনারতেœ ৪৫ বলে ৩৯ ও মাদুশকা ৬৪ বলে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩১৯/৪) ১৪৫.৩ ওভারে ৪৯২ (টাকার ৮০, স্টার্লিং ১০৩, ক্যাম্পার ১১১, ম্যাকব্রাইন ৩৫, হিউম ৬, হামফ্রেজ ৭, হোয়াইট ০* ; বিশ্ব ২৪-১-৯২-২, আসিথা ২২-৪-৭৮-২, জয়াসুরিয়া ৫৮.৩-১৩-১৭৪-৫, মেন্ডিস ২৭-৪-১০৮-১, ধনাঞ্জয়া ১৪-৫-২০-০)

    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৮.১ ওভারে ৮১/০ (মাদুশকা ৪১*, করুনারতেœ ৩৯*; হিউম ৪-০-২০-০, ম্যাকব্রাইন ৭.১-০-২৬-০, ক্যাম্পার ৪-০-১৯-০, হামফ্রেজ ৩-০-১৫-০)

  • বাথরুমের বদভ্যাস থেকে হতে পারে যে সব অসুখ

    বাথরুমের বদভ্যাস থেকে হতে পারে যে সব অসুখ

    লাইফস্টাইল ডেস্ক : শৌচাগার বা বাথরুমে থাকে প্রচুর রোগজীবাণু, যা থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। বিশেষ করে স্ট্রেপটোকক্কাস, স্ট্যাফিলোকক্কাস, ইকোলাই ও শিগেলা ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস, সাধারণ ঠাণ্ডা ভাইরাস অন্ত্রের সংক্রমণ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ভাইরাল সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এর পরও বাথরুম ব্যবহারগত দিকে আমাদের কিছু বদভ্যাস রয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিষ্কার বাথরুমেও এই ভুলগুলো করলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ভয়ংকর কোনো রোগে। তাই প্রত্যেকেরই বদভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

    কমোডের ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ নয়
    আমেরিকান জার্নাল অব ইনফেকশন কন্ট্রোলের মতে, কমোডের ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ করা উচিত নয়। কারণ ঢাকনা বন্ধ না করে ফ্লাশ করার অর্থ জীবাণুকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করা। পানি ফ্লাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের দখলে চলে আসতে পারে পুরো বাথরুম। তাই এই অভ্যাস আজই বদলান।

    টুথ ব্রাশ রাখবেন না

    দাঁতের যতেœ সবাই সচেতন। অথচ বাথরুমের ভেতর অনেকে টুথ ব্রাশ রাখেন। কিন্তু টয়লেটের চার ফুট দূরত্বে টুথব্রাশ থাকা উচিত। কারণ টয়লেটের ভেতর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ফলে টুথ ব্রাশে ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার আশঙ্কাও বাড়ে। ব্রাশে ঢাকনা পরিয়ে রাখলে জীবাণুর বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ে। এজন্য শুকনো টুথ ব্রাশ রাখা উচিত।
    টয়লেটে বসে সেলফোন ব্যবহার নয়

    অনেকেই টয়লেটের কমোডে বসে ফেসবুক, গুগল বা ইউটিউবে সময় কাটান। এটা কখনোই করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমের পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া। আবার ঠিকভাবে হাত না ধুয়ে পাশে রাখা ফোন ধরলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সালমোনেলা, ই কোলাই, সিগেলা ও ক্যামফাইলোব্যাকটরের মতো ব্যাকটেরিয়াগুলো।

    ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে তোয়ালে নয়

    যাঁরা বাথরুমে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে, একই তোয়ালে বারবার ব্যবহার করেন-তাদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

    মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটা নয়

    অনেকে খালি পায়ে বাথরুম ব্যবহার করেন, যা মোটেও উচিত নয়। একজোড়া জুতা বা স্যান্ডেল নখে ছত্রাকের সংক্রমণ রোধসহ নানা সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।

  • কোটালীপাড়ায় আম কুড়ানোর অপরাধে কলেজ ছাত্রকে মারধর

    কোটালীপাড়ায় আম কুড়ানোর অপরাধে কলেজ ছাত্রকে মারধর

    অনলাইন ডেস্ক : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় গাছতলা থেকে আম কুড়ানোর অপরাধে অনিক জয়ধর (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রকে মারধর করেছে এক স্কুল শিক্ষক ও তার ভাই। মারধরে আহত ওই ছাত্র স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী। গত রোববার  দুপুরে উপজেলার রামশীল ইউনিয়নে রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    মারধরের শিকার অনিক জয়ধর রাজাপুর গ্রামের অমল জয়ধরের ছেলে ও রামশীল কলেজের একাদশ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। মেধাবী এই ছাত্রকে মারধরের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    জানাগেছে, ঘটনার দিন দুপুরে কলেজ বন্ধ থাকায় কলেজ ছাত্র অনিক জয়ধর মাঠ থেকে ক্রিকেট খেলে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পথের ধারে একটি আম গাছের নিচে কয়েকটি আম পড়ে থাকতে দেখে অনিক জয়ধর আমগুলো কুড়িয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এ সময় ওই আম গাছের মালিক নৈয়ারবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম অধিকারী (৪০) ও তার ভাই লক্ষ্মণ অধিকারী (৩৫) তাকে মারধর করে। মারধরের খবর পেয়ে অনিক জয়ধরের পরিবারের লোকজন উত্তম অধিকারী ও তার ভাই লক্ষ্মণ অধিকারীর কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ত্রিমুখী বাজারের পল্লী চিকিৎসক মাখন জয়ধরের কাছে নিয়ে যায়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনিক জয়ধরের পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি নিয়ে আসে।

    অনিক জয়ধরের মা লক্ষ্মী জয়ধর বলেন, রাস্তার পাশের গাছতলা থেকে দুটি আম কুড়ানোর অপরাধে একজন শিক্ষক হয়ে উত্তম অধিকারী ও তার ভাই লক্ষ¥ অধিকারী আমার ছেলেকে বেদম মারধর করেছে। অর্থের অভাবে আমরা এখন আমার ছেলেকে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। তাদের ভয়ে থানায়ও যেতে পারছিনা। আমরা থানায় গেলে তারা আমাদের মারবে বলে হুমকি দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষক উত্তম অধিকারী ও তার ভাই লক্ষ্মণ অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।  উত্তম অধিকারীর ০১৯১৭০৭৭৮৫১ নম্বরের মুঠো ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

    ত্রিমুখী বাজারের পল্লী চিকিৎসক মাখন জয়ধর বলেন, অনিক জয়ধরের গলা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যেতে বলেছি।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য অবনী রায় বলেন, শিক্ষক উত্তম অধিকারী ও তার ভাই লক্ষ্মণ অধিকারী যে কাজটি করেছে তাহা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে আমরা সামাজিক পর্যায়ে বসে একটি মিমাংসার চেষ্টা করতেছি।

    ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়

    ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়

    অর্থ নীতি ডেস্ক:  এখন পর্যন্ত হাওরে ৭০ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫৫, মৌলভীবাজারে ৭০, হবিগঞ্জে ৬৭, সুনামগঞ্জে ৭৩, কিশোরগঞ্জে ৫৮, নেত্রকোনায় ৭৭ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৭ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।

    সোমবার (২৪ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়, হাওরভুক্ত ৭টি জেলার হাওরে এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর হাওর ও হাওরের বাইরে উঁচু জমি মিলে মোট বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল।

    সম্প্রতি ঈদের আগে সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কোনো প্রাকতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে এ বছর বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে।
    শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এবার ধান কাটায় কোন সমস্যা হবে না।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর সারা দেশে ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২ কোটি ২ লাখ টন চাল।